বর্তমান ক্ষমতাসীন ১৪দলীয় জোট সরকারের পতন ছাড়া বাড়ি ফিরছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যার কারণেই গুলশান নিজকাযালয় থেকেও বের হচ্ছেন না।
দলীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়া গুলশান নিজ কার্যালয় থেকে বের হলে তাকে আর কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না। যার কারণে তিনি নিজ ছেলের কবর জিয়ারত করতেও যাচ্ছে না।
এদিকে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে কেন এলেন না বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া? এ নিয়েই এ বার রাজনীতির ঘুঁটি সাজাচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকারি দল৷ তলে তলে শাণানো হচ্ছে খালেদা বিরোধী প্রচারের অস্ত্র হিসাবে ভাষা শহিদদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ‘অনীহার’ অভিযোগও৷
অবশ্য বিএনপি নেতৃত্বের পাল্টা অভিযোগ, খালেদা জিয়া শুক্রবার রাতে শহীদ মিনারে গেলে তার নিরাপত্তাহানীর আশঙ্কা ছিল৷ আওয়ামী লীগ সরকারই তাকে বিপাকে ফেলত৷
এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুব রহমান বললেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি এটাকে ইস্যু করে তা হলে বলতে হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ একবার আমাদের নেত্রীর অবস্থাটা বুঝুন৷ আওয়ামী লীগের চক্রান্তে তিনি এই মুহূর্তে প্রায় আটক রয়েছেন দলের চেয়ারপার্সনের জন্য নির্ধারিত কার্যালয়ে৷ ভালো করে বুঝুন, নিজের বাড়িতেও তিনি নেই৷ যদি তিনি শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন, তা হলে সরকারি দলের লোকেরা তাকে কি আর দলীয় কার্যালয়ে ফিরতে দিত? কী করে যাবেন? এ সব অপপ্রচারে কান দেবেন না৷ ২১ ফেব্রুয়ারির দিন সকালে কিন্ত্ত আমাদের দলের অন্য নেতা-কর্মীরা গিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন৷ ভাষা দিবস নিয়ে এহেন কলুষিত রাজনীতি শ্রেয় নয়৷’
কার্যত, বিষয়টিকে কিন্তু লঘু করে দেখছে না বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট৷ তাই গুলশান দুই নম্বরের ৮৬ সড়কে অবস্থিত কার্যালয়ে ভাষা শহীদ স্মরণে ‘দোয়া মাহফিল’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপার্সন জিয়া৷
বলতে গেলে, এই কার্যালয়টিই এখন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির লাগাতার হরতাল কর্মসূচি পরিচালনার স্নায়ুকেন্দ্র৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন