বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দলের হাল ধরতে পারেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ড· জোবাইদা রহমান। সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতে কে দলের দায়িত্ব পালন করবেন এ নিয়ে এরইমধ্যে আলোচনা শুরম্ন হয়েছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী হয়তো লন্ডন থেকে দেশে ফিরে দলের হাল ধরবেন তার পূত্র বধূ ডা· জুবায়দা । দুটি মামলায় হাজির না হওয়ায় গত বুধবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পর থেকেই গুঞ্জন চলছে, যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
এদিকে, দুটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্বেও সম্্ভবত আদালতে আত্ম সমর্পন করবেন না বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সম্্ভবত আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। কারণ আদালতে হাজির হওয়ার মতো স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই। তিনি তো এমনিতে তার গুলশান অফিসে বন্দি হয়ে আছেন। তিনি আদালতে আত্মসমর্থন করবেন কিভাবে’’ ? তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে হয়রানি করার জন্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বিরম্নদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। খালেদা জিয়ার এ পারিবারিক আইনজীবী আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন তো পালিয়ে যান নি, তাহলে কেন তার আত্মসমর্পনের প্রশ্ন উঠবে ? নিরাপত্তা জনিত কারণে তিনি তার অফিসের বাইরে যেতে পারছেন না, সরকার তাকে তার অফিসে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দি করে রেখেছে। তবে খালেদা জিয়া যেকোন সময় গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের অপর আইনজীবী সানাউলস্নাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করবেন কি না সেব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্তô নেয়া হয় নি। খালেদা জিয়ার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির হাই কমান্ড ও খালেদার আইনজীবীরা এ ব্যাপারে সরকারের কৌশল নিবিড়ভাবে পর্যবেড়্গন করছেন এমনকি দলের প্রধানের বিরম্নদ্ধে সরকারের ভবিষ্যত যেকোন পদড়্গেপ মোকাবেলায় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।এমনকি খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে তার অনুপস্থিতিতে কে দলের দায়িত্ব নিবেন সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।
দলের এক নেতা বলেন, সরকার চায় না খালেদা গ্রেফতার হোক। তাকে কেবল চাপের মধ্যে রাখার জন্য এসব করা হচ্ছে। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর কর্মসূচির মধ্যে অবরোধের সঙ্গে হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাও থাকতে পারে। সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দলের পরবর্তী পদড়্গেপ কি হবে এবং চলমান আন্দোলনের কৌশল কি হবে তা নিয়ে এরইমধ্যে দলের দুই শীর্ষ নেতার সাথে আলোচনা করেছেন খালেদা জিয়া। তার এই নির্দেশনার ভিত্তিতে দলের শীর্ষ নেতারা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের প্রয়োজনীয় নিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
ডেইলি সান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন