আমৃত্যু রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতেই সরকার সারাদেশে বিরোধীদল নির্মূলের আতঙ্কবাদী শাসন চালাচ্ছে।
এর মাধ্যমে সরকার দেশকে এক ভয়াল অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর রফিকুল ইসলাম খান।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেই বহুদলীয় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে এমন অপরিণামদর্শী রাজনীতি দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকেই গিলে খেতে পারে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে সবার অংশগ্রহনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলেই কেবল দেশকে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
মাওলানা খান তাঁর বিবৃতিতে আরো বলেন দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতেই ২০ দলীয় জোট দখলদার সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন চায় সরকার যদি এখনই তার রাজনৈতিক ক্রোধ, গুম-খুন-গণগ্রেফতার ও একগুয়েমী থেকে ফিরে না আসে তাহলে ক্ষমতাসীন দলেরই রাজনৈতিক অপমৃত্যু ঘটবে। রাজনীতিতে বিরোধীজোটের নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েই দেশে অরাজকতা ছড়াচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতেই সরকার জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন বাহিনীর বেআইনী নিপীড়নে সারাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের সংগ্রামে পুরোজাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। তাই বিরোধীজোটের দাবীর প্রতি সাড়া না দিয়ে সরকার যদি আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নেয় তাহলে শাসকগোষ্ঠী জনরোষের নির্মম পরিণতি এড়াতে পারবেনা।
জামায়াত নেতা আরো বলেন, গণতন্ত্রের বিকল্প কেবলই অধিকতর গণতন্ত্র। জনগণের উপর আস্থা না থাকার কারণেই বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশে বরখাস্ত করছে। কোন অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র দেশবাসী রুখে দেবে। শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করলে সরকার রাজনৈতিক সমঝোতার সকল পথ বন্ধ করে রাজনৈতিক আত্মহত্যার শিকার হবে।
মাওলানা খান বলেন, শক্তিপ্রয়োগ করে জনগণের আন্দোলন দমনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। জীবন বাজি রেখেই দেশবাসী রাজপথের লড়াই অব্যাহত রেখেছে। তাই সরকারের পতন অনিবার্য।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বিপন্ন গণতন্ত্রকে এখনই অবৈধ আওয়ামী সরকারের হিং¯্র থাবা থেকে উদ্ধার করতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আওয়ামী সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে বজ্র কঠিন শপথ নিতে হবে। প্রতারণার মধ্য দিয়ে যারা নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে চায় তারা বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। এই অবৈধ সরকারেরও পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকার পতনের চূড়ান্ত মুহূর্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করতে তিনি দেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারক ও ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-ছাত্র, আইনজীবী, মেহনতি মানুষ, কৃষক, শ্রমিকসহ সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষকে গণহত্যা, নৃশংসতা ও মানবতা বিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
চলমান আন্দোলন সফল করতে পহেলা মার্চ রোববার সকাল ৬টা থেকে ৭২ঘন্টার হরতাল ও একইদিন রাজধানী সহ সারাদেশে গণমিছিল সফল করতে সকল শ্রেনী পশোর নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন