বগুড়া অফিস: স্বামী শামীম প্রধানকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়ে স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেছেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনুন, কিন্তু হত্যা করবেন না। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও র্যাবের মহাপরিচালকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসকাব মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার সাবদিন ভগবতিপুর গ্রামের মেহের আলী প্রধানের পুত্রবধূ তানিয়া আক্তার। ব্যবসায়ী শামীম প্রধানকে আটকের ২০ ঘন্টা পরও র্যাবের পক্ষ থেকে তা স্বীকার না করায় উদ্বেগ জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
তানিয়া আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার স্বামী শামীম প্রধানকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা। এ খবর পেয়ে বিকেল ৫টায় আমি র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে গেলে প্রথমে র্যাব সদস্যরা শামীমকে আটকের কথা অস্বীকার করেন। আমি কান্নাকাটির পর এক পর্যায়ে জানালার ফাঁক দিয়ে এক মুহূর্ত দেখার সুযোগ পাই। এরপর থেকে র্যাব আমার স্বামীকে আটকের কথা স্বীকার করছেন না।
তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে দিনের বেলায় আমার স্বামীকে আটকের পর বগুড়া এবং গাইবান্ধা র্যাব ক্যাম্পে বারবার যোগাযোগ করলেও তারা আটকের কথা স্বীকার করেনি। আমি নিজের চোখে বগুড়া র্যাব ক্যাম্পে দেখার পরেও তারা অস্বীকার করছেন। ফলে আমি তার প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি। আমি আমাদের দুই বছরের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। এই অবস্থায় আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং র্যাবের মহাপরিচালকের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। সে কোনো অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনুন। দয়া করে আমার স্বামীকে হত্যা করবেন না।’
এসময় তানিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বারবার চোখের পানি মুছতে থাকেন।
শামীম প্রধান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী বলে জানান স্ত্রী তানিয়া আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে তানিয়ার মামা রাজু আহমেদ, ভাই হাদিউল ইসলাম, শামীমের বোন শ্যামলী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন