বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমদের পঞ্চম দফায় ৩ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘তিনি তো একটানা ২৩ দিন রিমান্ডে রয়েছেন, এরপরও আপনাদের আর কতোদিন রিমান্ড চাই?’
সোমবার বাসে পেট্রোলবোমা হামলার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় রিমান্ড শুনানিতে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিহাব উদ্দিনের কাছে ওই প্রশ্ন রাখেন।
দণ্ডবিধি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিজভীকে ১০ দিনের রিমান্ড নেয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড শুনানিতে রিজভী আহমদের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও হোসেন আলী খান হাসান বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একটানা ২৩ দিন রিমান্ডে রয়েছেন রিজভী আহমেদ। এরপর ফের রিমান্ড আবেদন আইন ও মানবাধিককার পরিপন্থি। শুনানিতে তারা রিমান্ড বিষয়ে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্তও তুলে ধরেন।
ওই সময় বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সিহাব উদ্দিনের কাছে জানতে চান, ‘এই আসামি একটানা ২৩ দিন রিমান্ডে রয়েছেন, এরপর আপনাদের আর কতোদিন রিমান্ড চাই?’
উত্তরে সিহাব উদ্দিন (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) বলেন, ‘পৃথক পৃথক মামলায় রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন আছে তাই রিমান্ড চওয়া হচ্ছে।’
জবাবে আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। এটা রাজনীতিবিদদের জন্য অশনিসংকেত স্যার (বিচারক)।’
এরপর বিচারক বলেন, ‘শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য নয়, সবার জন্যই অশনিসংকেত।’ শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বলেন, ‘রিমান্ডে নেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত থাকবে, যেন আসামির শারীরিক অবস্থার প্রতি আগে দৃষ্টি দেয়া হয়।’
গত ৩০ জানুয়ারি রাতে গুলশানের পার্ক রোডের একটি বাসা থেকে রিজভী আহমদে আটক হন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থানার একটি মামলায় ৩ দিন, যাত্রাবাড়ী থানার গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় ৩১ জন দগ্ধ ও একজন নিহত হওয়ায় মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ৫ দিন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি যাত্রবাড়ী থানার একটি মামলায় ৫ দিন এবং একই থানার বাসে পেট্রোলবোমা হামলার আরেকটি মামলায় গত ১৬ ফেব্রুারি ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ইনসাফ এর সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন