ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বঙ্গবন্ধু, জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ফুটপাথে থাকতে হতো না

ঢাকার নিউজ-২৩ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ঃ দেশের চরম রাজনৈতিক সংকটের অবসানের লক্ষ্যে দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে রাজধানীর রাস্তায় অবস্থান করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। দেশের ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা দুই নেত্রীর কাছে দুই দাবি তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি— আলোচনায় বসুন, দেশ বাঁচান। আর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দাবি— হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করুন, মানুষ বাঁচান। এ দুই দাবি নিয়েই ফুটপাথে অবস্থান করছেন তিনি। আজ অবস্থানের ২৭তম দিন। বিরোধী জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ২৩তম দিনে গত ২৮শে জানুয়ারি থেকে তিনি মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাথে অবস্থান নেন। দেশের সঙ্কট নিরসনে দু’জনকে উদ্যোগ নিতে বাধ্য করাই তার এই কর্মসূচির লক্ষ্য। এ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা আসায় তিনি বলেছিলেন, কোনভাবেই ফুটপাথ থেকে সরানো যাবে না। তখন থেকে সেখানেই কাটছে তার রাত-দিন। পুলিশি হয়রানি এবং ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও তিনি ফুটপাথ ছেড়ে যাননি। তার সঙ্গে থাকছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কখনও কখনও স্ত্রী-পুত্র-কন্যারাও থাকছেন সঙ্গে। শুরুতে দুটি চৌকি পেতে সেখানে অবস্থান করলেও পুলিশ সেগুলো নিয়ে যাওয়ায় এখন ফুটপাথে পাটি বিছিয়েই থাকছেন তিনি। সেখানেই সারছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ। পালন করেছেন অমর একুশে। এদিকে কাদের সিদ্দিকী অবস্থান নেয়ার পর থেকে সেখানে প্রতিদিনই আসছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তবে এদের বেশির ভাগই ভ্রাম্যমাণ। এসে গণস্বাক্ষরে অংশ নিচ্ছেন। যে যার সাধ্যমতো আন্দোলনে আর্থিক সহযোগিতা করছেন। এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। কাদের সিদ্দিকী তার এ কর্মসূচিকে অহিংস আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এখানে কারোর বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া হচ্ছে না। যতদিন দেশের এ চলমান সঙ্কট উত্তরণের ব্যবস্থা নেয়া না হবে ততদিন তিনি ফুটপাথেই অবস্থান করবেন। অপরদিকে অবস্থানের কারণ জানাতে এবং পুলিশি হয়রানির প্রতিকার চাইতে চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাননি কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী। দাবির কথা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। গত ২৮শে জানুয়ারি কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর নির্বিগ্নে চললেও দুই-এক দিন পর থেকেই শুরু হয় পুলিশি হয়রানি। পুলিশ গভীর রাতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে অবস্থানস্থলের যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে যায়। তৃতীয় দিন অবস্থান কর্মসূচি শেষে রাত ১০টার পর মতিঝিল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা কাদের সিদ্দিকীকে প্যান্ডেলের অর্ধেকটা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানান। সকালে সরিয়ে নিতে চাইলেও গভীর রাতে কাদের সিদ্দিকী ঘুমিয়ে পড়ার পর সরঞ্জাম নিয়ে যায় পুলিশ। পরদির রাতেও একই ঘটনা ঘটে। অবস্থানের দশম দিনে শুক্রবার দুপুরে নেতাকর্মীদের নিয়ে জুমার নামাজে যান কাদের সিদ্দিকী। এ সুযোগে মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চ ও অন্যান্য সরঞ্জাম তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। নামাজ শেষে অবস্থানস্থলে এসে তিনি খবরের কাগজ বিছিয়ে ফুটপাথেই শুয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর কাদের সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন, তাকে কোনভাবেই ফুটপাথ থেকে সরানো যাবে না। সংলাপ এবং সমঝোতার জন্য তিনি প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করবেন। এছাড়া এর আগের রাতে অবস্থানস্থল থেকে দলের ৬ কর্মীকে আটক করে পুলিশ। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে আটক হন বিএনপির সাবেক এমপি এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান ও নাজিমউদ্দিন আহমেদ। অবস্থানস্থলে কাদের সিদ্দিকীকে লেখা শেখ হাসিনার নিজ হাতের বেশ কয়েকটি চিঠি শোভা পাচ্ছে। সে চিঠিতে রয়েছে যেমন রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়াদি তেমনি পরিবারের আপনজনদের খোঁজ-খবর। আশির দশকে লেখা ওই চিঠিগুলো ফেস্টুন আকারে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। উৎসুক মানুষ সেগুলো পড়ছেন মনোযোগ দিয়ে। অবস্থানস্থলে আসা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত সামছুল কাদেরকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, তার দাবির কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। তিনি যা চাইছেন, সারা দেশের মানুষের চাওয়াও সেটাই। পুলিশি হয়রানির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি তো জ্বালাও পোড়াও করছেন না, তবে কেন তার থাকার জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হলো? সামছুল আরও বলেন, তারই যদি স্বাধীনতা না থাকে তাহলে আমরা কিভাবে কথা বলবো? অবস্থানস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাদের সিদ্দিকী কখনও পত্রিকা পড়ে, কখনও উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে গল্প করে, কখনও বই পড়ে, কখনও পায়চারি করে সময় কাটাচ্ছেন। অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বরাবরই বলে আসছেন, তার এ অহিংস আন্দোলন কোন দলীয় কর্মসূচি নয়। তবে দল তাকে সহযোগিতা করছে। তার এ অবস্থান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের সঙ্কটে বিবেকের তাড়না থেকে। দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে যতদিন দরকার ততদিন তিনি সেখানে থাকবেন। আজ বঙ্গবন্ধু অথবা জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে তাকে বেশি দিন ফুটপাথে থাকতে হতো না বলেও তিনি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন