দিনের বেলা গ্রামবাসীর সামনে পিস্তলের সঙ্গে থাকা স্টিলের চেইন দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবককে হত্যা করল পুলিশ। নিহত যুবকের নাম আসাদুল (২০)।
শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
দুপুর ১২টার দিকে ভাঙ্গা থানার এসআই মুকুল ও এসআই রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মিয়াপাড়া গ্রামে আসে। ‘ওয়েলকাম মোবাইল’ প্রতারণায় জড়িত সন্দেহে গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবককে ধাওয়া করে পুলিশ।
এ সময় আসাদুল ও জহুরুলকে তারা আটক করে। এক পর্যায়ে জহুরুল দৌড়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।
ছেড়ে দিবে এই আশ্বাস দিয়ে পুলিশের এসআই মুকুল ও এসআই রাসেল আসাদুলের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। আসাদুল টাকা দিতে না চাইলে পিস্তলের সাথে থাকা স্টিলের চেইন (চিকন শিকল) আসাদুলের গলায় পেঁচিয়ে নির্যাতন করে। গলায় চেইনের ফাঁস লাগিয়ে টেনে-হিঁচড়ে আনার এক পর্যায়ে আসাদুল ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আসাদুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশ’ গ্রামবাসী পুলিশকে ধাওয়া করে। এসময় পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় নিহতের লাশ পাশের এক গম ক্ষেতে ফেলে যায় পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার আসাদুলের লাশ নিয়ে ঢাকা-মাওয়া-বরিশাল মহাসড়কের পুলিয়ায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ ও দোষী পুলিশদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এ যেন আসাদুলের মৃত্যু নয়, মৃত্যু হয়েছে মানবাধিকারের, ফাঁস পড়েছে বাংলাদেশের গলে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন