ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

অবশেষে মান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে: মান্না গুলশান থানায়

ঢাকা: আটকের প্রায় ২১ ঘণ্টা পর অবশেষে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ৩টার দিকে বনানীতে ভাতিজির বাসা থেকে মান্নাকে আটক করা হয়। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলামেইলকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে (মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা) মান্নাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মাকদুসুল আলম বলেন, মান্নাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে এর আগে মান্নার আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ব্যাপারে কিছুই জানে বলে তারা জানায়। সে কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে বনানী থানায় একটি জিডিও করা হয়। যেখানে মান্নাকে নিখোঁজ দেখানো হয়।
গত প্রায় দু মাস ধরে চলমান সহিংসতার প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংলাপের দাবিতে নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন মান্না।
এদিকে তার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির টেলিফোন আলাপ রোববার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেখানে দেশের চলমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্তরণে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সহযোগিতা করতে চান বলেও উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এ সংবাদ প্রকাশের পর মান্না আটক হবেন এমন একটা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
নিজের ফেসবুক পাতায় মান্না ফোনালাপের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে এতে উসকানিমূলক কিছু ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘সামগ্রিক ঘটনায় আমি বিস্মিত, দুঃখিত, মর্মাহত। এ পর্যন্ত আমার রাজনীতি জীবনে কখনও সহিংসতা, ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দেই নি। আমার অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে। যে দুটো সাক্ষাৎকার ছেপেছে পাঠকদের অনুরোধ করবো যেন ভালো করে সেটা শোনা এবং পড়ে দেখার। কোথাও কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ নেই, উস্কানি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই বক্তব্যকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেন আমি লাশ চাই। একইভাবে সেনাবাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তা আমার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হলে বলব কি না সে কথা জানতে চাইলে, আমি বলেছি রাজি আছি। আমি রাজনীতি করি সবার সঙ্গে কথা বলতে হয়। এটা থেকে এক এগারো বা সামরিক কু’য়ের ষড়যন্ত্রের আবিষ্কার হয় কিভাবে? যেখানে এরকম কোনো বৈঠকই হয়নি।’
এ অবস্থায় গতকাল সোমবারই মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
আবার সোমবারই শান্তি ও সংলাপের দাবিতে ঢাকায় গণমিছিলের কর্মসূচি ছিল নাগরিক ঐক্যের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে কর্মসূচি বাতিল করা হয়। এ পরিস্থিতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না আজ মঙ্গলবারই এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

বাংলামেইল২৪ডটকম


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন