ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গুলশান থানা থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ডিবির জয়েন্ট কমিশন মনিরুল ইসলাম বাংলামেইলকে জানান, গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল আদালতে তোলা হবে।
গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে বিদ্রোহে উসকানি দেয়ার মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধি আইনে ১৩১ ধারার এ মামলা জামিন অযোগ্য। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মান্নার বিরুদ্ধে ৩০টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। দু’একটি জিডি মামলায় রূপান্তরিত হতে পারে। বুধবার তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।
এদিকে মান্নাকে থানায় হস্তান্তরের খবর সাংবাদিক মারফত জানতে পেরে রাত পৌনে ১টার দিকে তার স্ত্রী মেহের নিগার, ছেলে নিলয় এবং মেয়ে নিলম গুলশান থানায় আসেন। মান্নাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে থানা থেকে এটা জানানো হলে তারা মিন্টোরোডে ডিবি কার্যালয়ে যান।
রাত ২টা ১০ মিনিটে নিলয় বলেন, ডিবি কার্যালয়ে কেউ তাদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। এ জন্য বাধ্য হয়ে আবার গুলশান থানায় ফিরে গেছেন।
এর কিছুক্ষণ পরে মেহের নিগার বলেন, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তাদের জানিয়েছেন, মান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে। সেখানেই যেন তারা দেখা করার চেষ্টা করেন।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি সঙ্গে ফোনালাপ গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পরই মান্নার গ্রেপ্তার নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। সোমবার রাতে ডিবি পরিচয়ে তাকে ভাতিজির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থার কেউই মান্নাকে আটকের কথা স্বীকার করছিল না।
অবশেষে মঙ্গলবার দিবাগত মাঝরাতে তাকে গুলশান থানায় হন্তান্তর কররো র্যাব। র্যাব সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত ১১টার দিকে মান্নাকে ধানমণ্ডির স্টার কাবারের পাশের গলি থেকে আটক করে তারা।
তবে মান্নাকে আটকের বিষয়টি র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হচ্ছে না। অপরদিকে থানা পুলিম মামলার বিষয়ে জানালেও এজাহার দেখাচ্ছে না।
গুলশান থানার ওসিও এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছু বলতে রাজি হচ্ছেন না। তিনি থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন