রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া ও টেকনিক্যাল মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চারজনকে পুলিশ থানায় ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গতকাল মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতিকে থানায় ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ারের গল্প সাজিয়েছে। এছাড়া আরো তিনজনকে একইভাবে গুলি করে হত্যা করার পর গণপিটুনির কাহিনী সাজিয়েছে মিরপুর থানা পুলিশ। আমরা এ ধরণের ঘৃণ্য নরহত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্দুকযুদ্ধ, গণপিটুনি, ছিনতাইকারী ইত্যাদি নাম দিয়ে মূলত; বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে সরকারী বাহিনী। কিন্তু প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের হিসাব রাখা হচ্ছে। সময়ের পরিবর্তন হলে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত আদালতে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, একদিকে নিরীহ নিরাপধীদের গুলি করে মারা হচ্ছে, অপরদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা নাশকতা করা সময় আটক হওয়ার ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
সালাহ উদ্দিন বলেন, গতকাল কেরানীগঞ্জে র্যাবের হাতে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেন পেট্রলবোমাসহ ধরা পড়লেও এ বিষয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য নেই।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় পেট্রলবোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেলসহ হাতে নাতে ঘটনাস্থল থেকে ধৃত আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে উপরের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সরকারি পরিকল্পনায় পরিচালিত নাশকতার ষড়যন্ত্র এখন জনগণের সামনে দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
তিনি হুশিয়ার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী র্যাব-পুলিশ-বিজিবিকে রক্ষীবাহিনী স্টাইলে গণহত্যার হুকুম দিয়ে তার দায়ভার নিজের কাঁধে নিলেও কেউই গণহত্যার বিচার থেকে রেহাই পাবে না।
তিনি বলেন, আজ প্রত্যেক ঘরে ঘরে গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলন গড়ে উঠেছে। অবরুদ্ধ ও বিলুপ্তপ্রায় গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রাম ভোটাধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ন্যায্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন