বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হিন্দু সম্প্রদায়কে বিএনপির উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সব সময় আপনাদের (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়) সঙ্গে সময় আছি। আপদে-বিপদে; সুখে-দুঃখে থাকব।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের উপর আস্তা রাখুন।’
এ সময় বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ‘নৈতিক’ দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ আমরা ৫ জন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছি। যে দুটি মাললায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে, তার একটিতে অভিযোগ অরফানেজ ট্রাস্টে অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করেননি। আর চ্যারিটেবল মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জমি কেনার টাকা তছরুপ করেছেন। এসব প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে। খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার।’
তিনি বলেন, ‘আজ হাজার হাজার কোটি টাকার লোপাট হচ্ছে, ব্যাংক ফাঁকা। এসবের কোনো তদন্ত হয় না। সাজা দূরে থাক কারও নামে মামলাও হয় না। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ১৫টি মামলা হয়েছিল, ১/১১-এ। অথচ তার মামলাগুলো খারিজ করে দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের শত শত নেতা গুম, খুন হয়েছে। ৯২ হাজার মামলায় আসামি ২৫ লাখ। কত নেতাকর্মী বাড়িছাড়া, তার হিসাব নাই। এমন গ্রামও আছে, যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারেন না। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ হাজার ৭০০ গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরেও মামলা দেয়া হচ্ছে, সরকার সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, সংগঠনের নেতা বিজন কান্তি সরকার, অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, নৃপেশ রঞ্জন সরকার, ড. সোনালী রানী দাস, ডা. এমকে রায়, অ্যাডভোকেট বিধান দিশারী গুস্বামী, সুব্রত কুমার দাস, প্রতিভা বাচী, প্রশান্ত হালদার, সন্তোষ কুমার মাহাতু, উত্তম কুমার দাস, রিপন দে প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, নিরাপত্ত সমন্বয়কারী মো. ইসহাক, চেয়ারপারসনের প্রেস ইউংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন