ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসীল সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশঃ তফসীল ঘোষণা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে সরকারের ছকের বাইরে যাওয়ার কোন ক্ষমতা তাদের নেই.


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসীল সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৯ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের জনগণের প্রত্যাশা ছিল নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু সরকার তা না করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনগণের দাবি উপেক্ষা করে সরকার তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তড়িঘড়ি করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করল। এতে দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনগণের সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং শংকিত। তফসীল ঘোষণা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে সরকারের ছকের বাইরে যাওয়ার কোন ক্ষমতা তাদের নেই।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে যৌক্তিক ৮-দফা দাবি পেশ করেছিলাম। অনুরূপ দাবি-দাওয়া গুরুত্বপূর্ণ সকল রাজনৈতিক দল এবং জোট থেকেও পেশ করা হয়েছিল। যৌক্তিক এ সমস্ত দাবি-দাওয়ার প্রতি কোন ধরনের সম্মান প্রদর্শন না করে উল্টো বেপরোয়াভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট আরো জটিল আকার ধারণ করবে।
একদিকে নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা, অপরদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার ৫ জানুয়ারীর চাাইতে আরেকটি নিকৃষ্ট নির্বাচনের পাঁয়তরা করছে। এ ষড়যন্ত্রের পরিণতি কারো জন্য কল্যাণকর হবে না।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পরিণতি দেশের কারো জন্যই শুভ হয়নি। এবারেও ঐ ধরনের পাতানো একতরফা ব্যালট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচনের পরিণতি আরো খারাপ হতে বাধ্য। অতিঅল্প সময়ের মধ্যে ঝটিকা বেগে নির্বাচনের যে তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতেই প্রমাণিত হয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন ইচ্ছা সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের নেই। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
তাই বিরোধীদল ও জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন