১৫ নবেম্বর, আল জাজিরা : ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির চুক্তির প্রতিবাদে ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগেদর লিবারম্যানের পদত্যাগকে নিজেদের জন্য বিজয় হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনীরা। কারণ হিসেবে তারা বলছে, পদত্যাগী লিবারম্যান গাজায় হামলা অব্যাহত রাখতে চাইলেও হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ইসরায়েল অস্ত্রবিরতিতে বাধ্য হয়েছে।
নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখতে না পারায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন লিবারম্যান। তার পদত্যাগের কারণে এরইমধ্যে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
ইসরাইলি টিভি চ্যানেল-টুয়েন্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবারম্যানের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিজয় হয়েছে হামাসের। হামাসও এক বিবৃতিতে লিবারম্যানের পদত্যাগকে নিজেদের বড় বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
ইসরাইলের হামলার মোকাবেলায় গত কয়েক দিনে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ফিলিস্তিনীরা। বুধবার গাজা থেকে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ আন্দোলনের ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মুখে অস্ত্রবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। এরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে লিবারম্যান বলেন, হামাসের মোকাবিলায় অস্ত্রবিরতি মেনে নেওয়ার অর্থ হচ্ছে, তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা।
ইসরাইলের টিভি চ্যানেল-টেন বলেছে, লিবারম্যানের পদত্যাগের কারণে সংসদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে। এর ফলে ইসরাইলে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসরাইলি টিভি চ্যানেল-টুয়েন্টি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লিবারম্যানের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে বিজয় হয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের। হামাসও এক বিবৃতিতে বলেছে, লিবারম্যানের পদত্যাগ তাদের জন্য বড় বিজয়। তবে দলটি বলেছে, যতদিন ইহুদিবাদী শত্রুরা এর প্রতি সম্মান দেখাবে ততদিন আমরাও এর প্রতি সম্মান দেখাবো।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিরোধ আন্দোলন এবং ইহুদিবাদী শত্রুদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থাপনে মিসরের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।’ হামাসের এই ঘোষণাকে নিজেদের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করে গাজা উপত্যকার রাস্তায় নেমে আসনে শত শত বিক্ষোভকারী।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি শুরু হওয়া উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে ২০১৪ সালের যুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন