শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক,,
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম জাফরাবাদ মেঘনা নদীর তীরে ইজতেমা শুরু হওয়ার পূর্বেই বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেছে প্রশাসন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ইজতেমা বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ইজতেমা করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা জড়িয়ে পরে। ইতিমধ্যে ইজতেমার নির্মিত প্যান্ডেল ভেঙ্গে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে ।
১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরাণবাজার পশ্চিম জাফরাবাদ মেঘনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, ১৫,১৬,১৭ নভেম্বর ইজতেমা শুরু হবার খবর শুনে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত তাবলিক জমায়াতের লোকজন এসে ভিড় জমায়।
এ সময় প্রশাসনের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে তাবলিক জমায়াতের লোকজন ইজতেমার মাঠে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের নির্দেশে মডেল থানা পুলিশ ও পুরানবাজার ফাড়িঁ পুলিশ মাঠে বেশ কয়েকটি রাস্তায় পাহাড়া দিয়ে জমায়াতের মুসলিদের ভিতরে ডুকতে বাঁধা দেওয়া হয়। এসময় পুলিশের সাথে তাবলিক জমায়াতের লোকজনের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ইজতেমার মাঠে থাকা মুসল্লিদের মালামাল সড়িয়ে ফেলে দেয়।
পুলিশ লাইন ও সদর মডেল থানার প্রায় শতাধীক পুলিশ ইজতেমার মাঠে এসে অবস্থান নিয়ে তাবলিক জমায়াতের লোকজনদের বেড় করে দেয়।
দুপুরে জোহর নামাজ আদায় করে মুনাজাত শেষে তাবলিক জমায়াতের লোকজন মাঠে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশের সাথে তাবলিক জামায়াতের কিছু লোকজনের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহাম্মেদ ও সাধারন সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী মাঠে এসে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রেখে তাবলিক জামায়াতের লোকজনদের বুঝিয়ে মাঠ ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়।
এসময় তারা বলেন নির্বাচনের পূর্বে চাঁদপুরে আর কোন ওয়াজ মাহফিল করতে দেওয়া হবে না।
যা হবে নির্বাচনের পরে করা হবে। আর এই মাঠেই চাঁদপুর ইজতেমা করা হবে। জেলা আওয়ামীলীগ ও পুলিশ প্রশাষন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
পরে ইজতেমার মাঠে মুনাজাত শেষে তাবলিক জমায়াতের লোকজন মাঠ ত্যাগ করতে শুরু করেন।
ইন্সপেক্টর আবদুল রশিদ ও মনির হোসেন জানায়, চাঁদপুরে তাবলিক জমায়াতের দুই গ্রুপের কারনে বেশ কয়েকদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। দুই গ্রুপের মাঝে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের একটি গ্রুপ ইজতেমা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাষক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্বারকলিপি পেশ করে।
পরে প্রশাসন নিরাপত্তার স্বার্থে ইজতেমা বন্ধ করা নির্দেশ প্রদান করে।পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এসময় মাঠে উপষ্হিত তাবলীগ জামাতের বেশ কয়েকজন জানায়, গত বছরের নেয় এবারও দ্বিতীয় বারের মতো এ মাঠে তিনদিন ব্যাপি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার উদ্দোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে ইজতেমা করার অনুমিত দেওয়ার পরেই ইজতেমার প্যান্ডেলের কাজ শুরু হয়। কিন্তুু একটি সুবিধাবাদি লোক নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য ইজতেমা বন্ধের জন্য পায়তারা করে। এখানে দেশী-বিদেশী জামাতসহ কয়েক লাখ ধর্মপ্রান মুসল্লিরা সমাগম হবার কথা ছিলো। কিন্তুু ইজতেমা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার কারনে মুসলীরা আসেনি।
উল্লেখ্য, আগামী ২২.২৩ ও ২৪ নভেম্বর এ (৩দিন) চাঁদপুর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার তারিখ নির্ধারন করা হয়।
পরে জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে তারিখ পরিবর্তন করে ১৫,১৬,১৭ নভেম্বর ইজতেমা শুরু করার সিধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন