ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ করেনি। অস্ত্র হাতে নেয়নি। তাই শুরু হয়ে গেল রাজাকার উপাধি !

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আজ ৪৫ বছরেও কেউ জানতে চায়নি জামায়াতের বক্তব্যটি আসলে কী ছিল?
কেউ জানতে চায়নি জামায়াতে ইসলামী কেন স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়নি?
জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী ছিলনা। কিন্তু যুদ্ধের কৌশলের বিরোধী ছিল। অধ্যাপক মরহুম গোলাম আযম (রহঃ) সাহেব শেখ মুজিবকে বলেছিলেন, পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তানের ভৌগলিক
সীমারেখার যে পার্থক্য; এইভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা। আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবোই হবো। দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাঁদে পা দিবেন না। শিয়ালের হাত থেকে আমাদের বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না। কারণ শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায়। আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়।

শেখ মুজিবর রহমান অধ্যাপক গোলাম আযমকে আশ্বস্থ করলেন যে, আপনি কোন চিন্তা করবেন না। শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের একদিন আগেও স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু কিছু বাংলাদেশী বামরা গান্ধীর ভাড়াটে দালাল শেখ সাহেবকে জোর করে ভাষণ পরিবর্তন করতে বাধ্য করিয়েছিল।
এই অগোছালো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি। জামায়াত ইসলামী তাদেরই একটি অংশ। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা চায়নি। আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা আছে? যুদ্ধ বেজে গেল পাকিস্তানীরা ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে, হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে। ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান মরতেছে আর মজা মারতেছে ভারত। এরই মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তানের প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিল। নিয়াজী মেনে নিল। যুদ্ধ বিরতি হয়ে গেল। ৯৩ হাজার সৈন্যের পরাজয়। এগুলো সবার জানা বিষয়। কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ বিলুপ্ত। এই ইতিহাস আজ হাস্যকর। এই অপরাধে আজ জামায়াত নেতারা ফাঁসির মঞ্চে। কবি নজরুলের কথার মত বাঙ্গালিরা কিছুদিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াত ইসলামীর ভাষা।
স্বাধীনের পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিস লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেনঃ আমাদের আরো একটি মুক্তি যুদ্ধের দরকার। স্বাধীনের পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের বিনিময়। গান্ধীই ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি করিয়েছিল।
সেখানে ছিল শেখ সাহেবকে গান্ধী বলেছিলঃ ফারাক্কা বাঁধটি একটু খুলে দাও' শুধু পানির কিউসেক পরীক্ষা করার জন্য। ৭ দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলব। ৪৫ বছর হয়ে গেলো, এখনও সে ৭ দিন শেষ হলোনা। হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার গোলাম। এই গোলামীর বোঝা বহন করে এখনও চলছি মোরা।
এখন কাদের সিদ্দিকী যখন বলেঃ স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ভুল করেছি।
অনেক মুক্তিযুদ্ধা যখন বলেঃ যদি এমন জানতাম স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম না।
তাহলে এখন প্রমাণিত হলঃ ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আজ ন্যায্য মূল্যে কেনা স্বাধীনতা বিনামূল্যে ভোগ করছে ভারত। এই বাঙ্গালি যেমন চিন্তা না করে কবি নজরুলকে কাফের ডাকলো সেই বাঙ্গালী না বুঝে রাজাকার ডাকা শুরু করলো নির্দোষ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে !
Courtesy : Jast Hasan

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন