বাংলাদেশ বার্তাঃ আগামী ২৩ ডিসেম্বর হতে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্ব ২০ দলীয় জোট।
রবিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন জোটের নতুন সমন্বয়ক এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম।
একই সময়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে তফসিল একমাস পেছানোর দাবি করেছে জোটটি।
রবিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন জোটের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
২০ দলীয় জোটের সংবাদ সম্মেলন
১১ নভেম্বর ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়, গুলশান, ঢাকা।
১১ নভেম্বর ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়, গুলশান, ঢাকা।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম।
আসসালামু আলাইকুম।
We Revolt বলে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাত্রে আমাদের অনেকেরই উপস্থিতিতে যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের সেই শ্রেষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এবং মহান স্বাধীনতার মূল চেতনা বহুদলীয় গণতন্ত্র পূণ:প্রবর্তন ও শক্তিশালী করার প্রত্যয়ে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মূল দাবী ছিল একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য অনুগত নির্বাচন কমিশনকে পূণ:গঠণ, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনে লেভেল ফিন্ড নিশ্চিত করা, সমগ্র বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও প্রত্যাখ্যাত ইভিএম মেশিন ব্যবহার না করা এবং নির্বাচনে পেশী শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ভোট দানে বাধা দেয়া ও ভাল ভোট দেয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের অন্তত ৭ দিন আগে থেকে ২ দিন পর পর্যন্ত মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দেশ-বিদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তায় অভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক সস্বস্ত্র বাহিনীকে নিয়োজিত করা। পাশাপাশি মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারারূদ্ধ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়া এবং মিথ্যা মামলায় আটক ও গায়েবী মামলায় আটক সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের সুযোগ দিয়ে প্রতিদ্বন্দিতামূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। সকলেই এসব দাবীর যৌক্তিকতা স্বীকার করলেও বিনাভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী সরকার আমাদের দাবী পূরণে আন্তরিক ছিলনা এবং সংলাপেও তা মানেনি। নতুন মামলা না দেয়া এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নামে দেয়া গায়েবী ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আশ্বাসের পর আরো বেশী করে মামলা দেয়া হয়েছে ও হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়া হয়নি। এমন কি ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের নামে দেয়া গায়েবী ও মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট জামিন দেয়ার পর সরকারের আইনজীবীরা চেম্বার জজ আদালতে ও আপিল বিভাগে ঐ সব মামলার জামিন বাতিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অনুগত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেশের সকল বিরোধী দলের আবেদন ও যৌক্তিক পরামর্শ অগ্রাহ্য করে সরকারী দল ও তাদের অনুগত জোটকে সুবিধা দেয়ার জন্য একতরফা ভাবে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে যাতে বিরোধী দলগুলো প্রস্তুতি ও প্রচারণার সময় কম পায়। কারণ সরকারী দল গত কয়েক মাস ধরে নির্বাচনী বিধিমালাকে অমান্য করে সরকারী ব্যয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছে এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে প্রকাশ্যে তাদের দলীয় প্রতীকে ভোট চেয়ে জনসভা করছেন। সারা দেশে নির্বাচনী প্রতীকসহ তাদের প্রচাণার পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন শোভা পেলেও নির্বাচন কমিশন এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখন গ্রহণ, এসব থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান তো দুরের কথা বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
অন্যদিকে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশবাসী দ্রুত বিচার চেয়েছেন কিন্তু তাদের বিষয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে, আইন ও যুক্তিগ্রাহ্য কোন প্রমান ছাড়াই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দ্রুত সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্য কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই দেশনেত্রী কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হুইল চেয়ারে করে পূণরায় পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে ফেরৎ পাঠানো এবং অসুস্থ অবস্থাতেই তাকে হুইল চেয়ারে করে কার্যক্রম অনৈতিক ও অমানবিক। ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং ৭৩ বছর বয়স্ক একজন অসুস্থ মানুষর প্রতি সরকারের এধরনের নিষ্ঠুর আচরনে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও হতবাক। এমন অস্বাভাবিক ঘটনার কোন দৃষ্টান্ত নেই এবং তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের জানা নেই।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেছি যে, আসন্ন নির্বাচনে শুধু মাত্র দলীয় সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা যথা ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও সকল জেলার ডিসিদের রির্টানিং অফিসার এবং আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী ২৭২টি আসনে ৫০৮ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মধ্যে মাত্র ২৯ জন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন। এদের বেশীর ভাগই থানা নির্বাচনী কর্মকর্তা। অর্থাৎ সব থানা, জেলা ও বিভাগে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা রয়েছেন এবং তারা অন্যান্য নির্বাচনে রিটানিং অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিম্বা সমমর্যাদার অন্যান্য কর্মকর্তাগণও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবেন এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে। কিম্বা জনগণের মনে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে যে নির্বাচন কমিশন তাদের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে সরকারী কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব দিলেন কেন? এর বিশেষ কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা এবং এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রভাব বাড়বে কিনা - তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুস্পষ্ট ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দাবী করছি।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
২০ দলীয় জোট গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই নির্বাচনকেই গণতন্ত্রের বাহন বলে মনে করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ স্বাধীনভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অবাধ স্বাধীনতা ভোগের অধিকারী বলে মনে করে।
যদিও সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করে ও সংসদ বহাল রেখে সাজানো প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনী প্রহসন করে পুণরায় ক্ষমতায় আসীন হতে চায় কিন্তু তাদের কুশাসন, গুম, খুন, হামলা, মামলা, দুর্নীতি, অনাচার, চাঁদাবাজী ও দখলবাজীতে অতিষ্ট এবং দ্রব্যমূল্যর উর্দ্ধগতিতে বিপর্যস্ত সকল শ্রেনী পেশার মানুষ পরিবর্তন চায়। বিরোধী দলগুলোকে সভা, সমাবেশ মিছিলে বাধা দিয়ে, মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানী করে জনগণের ক্ষোভ ও ক্রোধকে চাপা দিয়ে রেখে সরকার মনে করছে জোর করে নির্বাচনে জিতে যাবে। কিন্তু তাদের এমন বাসনা পূর্ণ নাও হতে পারে।
মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে কুইক রেন্টালের নামে বার বার বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়িয়ে, এই সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য, পরিবহন ব্যয়, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ব্যয়সহ সবকিছুকে জনগণের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে। কিছু দলীয় ব্যক্তি আর নিজেরা ধনী হতে গিয়ে সরকার দেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়িয়ে দিয়েছে। শেয়ার মার্কেট লুট, ব্যাংক লুট, এমনকি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক লুটের ঘটনার জন্য কারা দায়ী জনগণ তা জানে। কারা সুইস ব্যাংকে ৬ লাখ কোটি টাকারও বেশী জমা করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করে সেকেন্ড হোম আর কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়েছে তা আজ গ্রামের জনগণও জানে। তারা ব্যালটেরে মাধ্যমে সরকারের এসব দুর্নীতি, অনাচার, অত্যাচার দুঃশাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। দলীয় গুন্ডা-পান্ডা আর দলীয় বিবেচনায় নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের ভয়ে জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ ভীত নয়। তারা জানেন যে, নির্বাচনে পরাজয়ের পর এসব দুর্নীতিবাজ অত্যাচারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আমরা দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দূঢ় প্রতিজ্ঞ এবং জনগণের প্রতি আস্থাশীল বলেই এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা ২০ দলীয় জোট সর্বসম্মত ভাবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ ভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সাথেও আমাদের নির্বাচনী সমঝোতা হবে। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের দুর্নীতি অনাচার, অত্যাচার এবং সর্বোপরি তিস্তার পানি আনতে না পারা সহ রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষায় সীমাহীন ব্যর্থতার প্রতিবাদ ব্যালটের মাধ্যমে দেয়ার জন্য জনগণকে সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। আর সে কারণেই আমারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো Ñ যাতে করে জনগণ তাদের ক্ষোভ, বেদনা ও প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ পায়। আমরা দাবী করছি যে, অনিবার্য জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য সরকার দেশনেত্রী জামিনে মুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণে নতুন কোন সমস্যা সৃষ্টি করবেনা। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রবাব মুক্ত থেকে সাংবিধানিক ভাবে প্রাপ্ত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে পালন করবে। সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের কোন ধরণের হয়রানী করবেনা এবং গায়েবী ও মিথ্যা মামলায় আটকদের মুক্তিদেবে। নুতন করে কাউকে গ্রেফতার কিম্বা হয়রানী করবেনা। বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যাত ইভিএম মেশিন ব্যবহার করবেনা। নির্বাচনের ৭ দিন আগে থেকে এবং নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২ দিন পর পর্যন্ত সকল নির্বাচনী এলাকায় মেজেস্ট্রেসী ক্ষমতা দিয়ে স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করবে। এর সব কিছুই দেশের বর্তমান সংবিধানের আওতাতেই করা যায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনকে যেহেতু আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি, সেহেতু সেই দাবীতেও আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮। এর এক দিন পরেই খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বাীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন ২৫ ডিসেম্বর। এর কয়েকদিন আগে থেকেই এই ধর্মের অনুসারীরা উৎসব পালনে ব্যস্ত থাকবে। দেশে অবস্থিত দূতাবাস সমূহের বেশীরভাগই এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ নির্বাচনে কোন ভূমিকা পালন করতে পারবে না। নির্বাচনে কারচুপি করার কুচিন্তা না থাকলে এমন দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হতো না। আমরা এই কারন সহ অন্যান্য অনিবার্য কারনে নির্বাচনী তফশীল পরিবর্তন করে অনন্ত এক মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবী করছি।
প্রিয় বন্ধুগণ
এদেশের জনগণ ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মহান ভাষা আন্দোলনে সফল হয়েছে। উনসত্তরে গণঅভ্যত্থান করেছে। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। এবারও আসন্ন নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করে একটা বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, প্রতিহিংসামুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-যুবক, সাংবাদিক, বুুদ্ধজীবী, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার নারী পুরুষদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আসুন প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির আবাসে পরিণত করি। দুর্নীতি-অনাচার-অত্যাচারের অভিশাপ থেকে মুক্ত করি। আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, কাজেই অর্থ কিম্বা পেশীশক্তি আমাদের হারাতে পারবেনা। বজ্র কঠিন ঐক্য এবং সাহসী প্রতিরোধ দিয়ে আমরা বার বার বিজয়ী হয়েছি এবারও হবো ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন