ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

গুপ্ত হত্যার হুমকি গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে!


বাংলাদেশবার্তা ডেস্কঃ গত সপ্তাহে ইসরাইল গাজায় বিমান হামলা চালালে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নেতৃত্বে এর উপযুক্ত জবাব দেয় এবং প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইসরাইলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারম্যান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। 
এই ঘটনার পর গতকাল ইসরাইলের রাষ্ট্র ইসরাইলের স্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রী Yoav Galant , গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে গুপ্ত হত্যার হুমকি দেয়। 
আসুন জেনে নেই ইসরাইলের আতঙ্ক হামাস নেতা কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ারঃ 
জন্মঃ
ইয়াহিয়া সিনওয়ার একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এবং একজন যোদ্ধা হিসেবে ফিলিস্তিনের একজন অতি পরিচিত মুখ। ইজ্জেদ্দিন কাসসাম বিগ্রেডের অন্যতম সেনাপতি ১৯৬২ সালে গাজা উপত্যকার দক্ষিন অঞ্চল হান ইউনুসে জন্ম গ্রহন করেন। 
শিক্ষাজীবন ও ছাত্র রাজনীতিঃ
হান ইউনুসে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করার পর গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী ভাষা ও সাহিত্যের উপরে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। 
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হোন এবং ৫ বছর সক্রিয় দায়িত্ত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কমিশনের ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ত্ব পালন করেন । 
শহীদ আহমেদ ইয়াসিনের সহচার্যতাঃ
হামাস সেনাপতি ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ফিলিস্তিনের স্বাধিনতা আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ শহীদ আহমাদ ইয়াসিন (রহঃ) এর সহচর্যে আসেন ৮০ র দশকে। সেই সময়ে হামাসের সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাদেরকে তিনি দায়িত্ত্ব দেন তার মধ্যে একজন হলেন এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার। নেতার দেওয়া আদেশ খুব ভালোভাবে পালন করেন এবং সফলতার সাথে সেনাপতির দায়িত্ত্ব পালন করেন। 
ইসরাইলের জেলের অন্ধ দীর্ঘ ২২ বছরঃ
ইসরাইলের বুকে কাপন ধরানো এই যুবক সর্ব প্রথম ১৯৮২ সালে ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হোন। দ্বিতীয় বার গ্রেফাতার হোন ১৯৮৮ সালে। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল এইবার তাকে টানা ২২ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দী করে রেখে চরম জুলুম নির্যাতন চালায়। 
২০১১ সালে ইসরাইলী সেনাপতি গিলাড শালিডকে, হামাস ১০২৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ছেঁড়ে দেয়। এই বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া ১০২৭ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে একজন ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। 
ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাসের গাজার প্রধান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার ইযযেদ্দিন কাসসাম বিগ্রেডের প্রধান সমন্বয়ক। 
তিনি হামাসের গাজার প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তার নির্দেশে দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাস সরাসরি হামলা পরিচালনা করে। 
ইসরাইলের এই পরাজয়ের পর ইয়াহিয়া সিনওয়ার কে নিয়ে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে তাকে নিয়ে বলা হয়, 
" তিনি একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা, কম কথা বলেন কিন্তু নেতৃত্বের যোগ্যতা অসাধারণ। ইবরানী ভাষা খুব ভালোভাবে জানার কারণে ইসরাইল সম্পর্কে সব খবরাখবর খুব ভালোভাবে রাখেন"। 

মহান প্রভূর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন এই মজলুম মানবতাবাদী ও ফিলিস্তিনের এই নায়ককে হেফাজত করেন।

মূল প্রতিবেদনঃ মুসলিম পোর্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন