ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮

এবারের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত: সমাধানের জন্য দেওবন্দ যাচ্ছেন প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ বার্তাঃ এবারের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন ও তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে বসা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার মতামত জানতে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠানোর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, তাবলিগের আহলে শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ যোবায়ের, ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকালের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এছাড়া তাবলিগ জামাতের মুরব্বিদের মধ্যে শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আলেমদের মধ্যে শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ও গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নাল আবেদিন, পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ধর্মসচিব, সেতু বিভাগের সচিব, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ।
বৈঠক সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে হলে ইজতেমা করা যাবে। না হলে হয়তো ইজতেমা পেছানো লাগতে পারে। নির্বাচনের তারিখ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন কমিশন তাই ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত বলে ঘোষণা না করাই ভালো।’
বৈঠকে দুই পক্ষই নিজদের পক্ষে সাফাই বক্তব্য রাখেন। একপক্ষ জানায়, মাওলানা সাদ ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যপক্ষের দাবি, মাওলানা সাদ ভুল স্বীকার করেননি। এ কারণে বিষয়টি পরিষ্কার হতে ভারতে এই প্রতিনিধি দল ভারতে যাবেন।
জানা গেছে, ভারতে তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীরা গত বিশ্ব ইজতেমার পর ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন। অন্যদিকে সাদবিরোধীরা কওমি আলেমদের নিয়ে স¤প্রতি ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ প্রসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহর খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ আমাদের সময়.কমের এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান হওয়া জরুরি। আমরা চাই উভয় পক্ষের মধ্যে ঐক্য হোক। বিভক্তি দূর হোক। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবেন বলেও তিনি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন