ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

চট্টগ্রাম নগরীতে ১ মাসে বিরোধী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৩৮টি গায়েবী মামলাঃ আসামী জামায়াত - বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী


বাংলাদেশ বার্তাঃ  বিগত এক মাসে চট্টগ্রাম নগরীর ১৫টি থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩৯টি ‘গায়েবী’ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী। এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে। অন্যদিকে জামায়াত- শিবিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ৯৯টি মামলা।
আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) তিনি পাঠক ডট নিউজকে এতথ্য জানান।
নগর বিএনপির দেয়া তথ্যমতে, গত ১লা অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত নগরীর ১৫টি থানায় ১৩৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে পতেঙ্গা থানায় ১৬ টি, বন্দর থানায় ১২ টি, ই পি জেড থানায় ১৫ টি, খুলশি থানায় ৮ টি, পাহাড়তলী থানায় ৯ টি, হালিশহর থানায় ৫ টি, আকবর শাহ থানায় ৫ টি, সদরঘাট থানায় ৯ টি,
কোতোয়ালী থানায় ১১ টি, চকবাজার থানায় ৫ টি, বাকলিয়া থানায় ১০ টি, চান্দগাও থানায় ১৩ টি, পাঁচলাইশ থানায় ৭ টি, বায়েজিদ থানায় ১০ টি, ডবলমুরিং থানায় ৪টি ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করেছিলাম গত ২৭ তারিখ। সুশৃঙ্খল ও সফল সামবেশ করার অপরাধে আমার বিরুদ্ধে গত এক সাপ্তাহে ১০টি গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে। এসব মামলায় নগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদতকেও আসামী করা হয়েছে। 
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে পুলিশ কিভাবে কোন কারন ছাড়াই একের পর এক মামলা দিচ্ছে। এসব গায়েবী মামলার কথা শুনলে আমাদেরও লজ্জা লাগে। কিন্তু যে সকল পুলিশ অফিসার এসব মামলায় সই করেন তাদের কি কোন লজ্জা শরম নেই। তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা  গত দিনগুলোতে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন করেছি। তারপরও কেন আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের হাজার হাজার নেতাকর্মী রাতে ঘরে থাকতে পারছেনা। তিনি প্রম্ন রেখে বলেন, পুলিশ কেন দলীয় কর্মীর ন্যায় আচরণ করছে।
গায়েবী মামলা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। সুযোগ পেলে জনগণ ঠিকই রাস্তায় নেমে আসবে।
নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের পর থেকে নগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন ভাই ও আবু সুফিয়ান ভাইসহ সিনিয়র নেতাদের নামে ১০ নতুন গায়েবী মামলা দিয়েছে। 

গতকাল রাতে ঢাকার মতিঝিল থানা ডিবি পুলিশ মামলার জামিন নিতে যাওয়া নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক 
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া ও নগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদকে একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া গতকাল নগরীর বিভন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে নগর বিএনপির সহ ধর্ম সম্পাদক রেহান উদ্দীন প্রধান ও নগর মহিলাদলের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক ছকিনা বেগম চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে অবস্থান করলেও তার বাসায় আকবর শাহ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার চেলে আরিফুর রহমান সুমন কে গ্রেফতার করেছে। চকবাজার থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুর হোসেনকে ও গতকাল গ্রেফতার করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বগেম বলেন, সুনির্দিষ্ট অপরাধের কারনেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গায়েবী মামলা বলতে কিছু নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন