ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

চতুর্থ দিনের অবরোধে সারাদেশে অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর : বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ-সহিংসতায় আহত অর্ধশত, গ্রেফতার শতাধিক

বাংলাদেশ বার্তাঃ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের চতুর্থ দিনের অবরোধ। এতে সকাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত অর্ধশত গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আগুন দেয়া হয়েছে আরও ৪-৫টি গাড়িতে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে পুলিশসহ বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষে আহত হয় অর্ধশত নেতাকর্মী। এ সব ঘটনায় আটক করা হয়েছে শতাধিক নেতাকর্মীকে। এদিকে রাজধানীতে চতুর্থ দিনে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালিত হয়েছে। এদিন বিএনপি-জামায়ত কর্মীরা বিক্ষিপ্ত কিছু মিছিল-মিটিং করলে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে মিরপুর ১১নং বাসস্ট্যান্ডে সকাল সোয়া ১১টায় রাস্তায় আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে জানা গেছে। তাছাড়া প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাসে সকালে গাবতলী থেকে দূরপাল্লার কিছু বাস ছাড়লেও পরে বাস মালিক-চালকরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে তা বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় গাবতলী-সায়েদাবাদে বাস চালক-শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীতে আন্ত:জেলা পরিবহনগুলো আগের অবরোধের দিনগুলোর মতোই যাত্রীশূণ্যই ছিল বলা চলে। রাজধানীর বাইরে অবরোধের চতুর্থ দিনেও দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকায় কার্যত বিচ্ছিন্ন রয়েছে এক জেলা থেকে আরেক জেলা। এদিন চট্টগ্রাম থেকে বিজিবি ও পুলিশ প্রহরায় সকালে দূরপাল্লার কিছু গাড়ি ছাড়া হলেও সেগুলোতে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। চট্টগ্রাম ছাড়াও কয়েকটি জেলায় পুলিশ প্রহরায় দূরপাল্লার কিছু গাড়ি রাস্তায় নামানো হলেও সেগুলোর যাত্রী সংখ্যাও ছিল একই। এছাড়া জেলাগুলোতে কিছু আন্ত:জেলা পরিবহন চালু থাকলেও সেগুলোতে যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল না। গাইবান্ধা : অবরোধে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও সাদুল্লাপুরে সেনাবাহিনীর একটি গাড়িসহ সাত-আটটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয়া হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া দুই থানার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে অবরোধকারীদের ধাওয়ায় দুইটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে গেলে সাত জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান ও সাদুল্লাপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম। ধুনট (বগুড়া) : অবরোধের চতুর্থ দিনে শুক্রবার সকালে বগুড়ার ধুনটের হুকুম আলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ২০জন আহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হুকুম আলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেত হয়। তারা ধুনট-শেরপুর সড়কে যানবহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। পরে সেখানে বিএনপি-জামায়াতের সমাগম বাড়তে থাকে। বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম তৌহিদুল আলম মামুনের নেতৃত্বে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উল্লাপাড়া তেলের পাম্প ঘুরে হুকুম আলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ফিরে আসে। সেখানে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশের রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দু’জনকে শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া লাঠিচার্জের ঘটনায় পথচারীসহ প্রায় ২০জন আহত রয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধুনট সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বিদ্যুৎ, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সভাপতি সেলিম আহমেদ, ছাত্রদল নেতা আলম হোসেন ও পথচারী ইশ্বরঘাট গ্রামের তৈয়বর আলীর ছেলে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে। ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটের আঘাতে প্রায় ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ৫জন দলীয় নেতাকর্মীকে অবৈধ ভাবে আটক করেছে। ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান পিপিএম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হুকুম আলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সমাবেশের চেষ্টা করছিল। সমাবেশের নামে রাস্তায় যানবহন চলাচল বন্ধ করতে তারা পরিকল্পনা নিয়েছিল। এজন্য লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকে অন্তত ৩০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণসহ বিক্ষোভ মিছিল করেছে অবরোধকারীরা। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ১০ জন আহতও হয়েছেন। পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় নিতাইগঞ্জ এলাকায় মহানগর যুবদল ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ১০টি ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করলে তারাও পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির পাচঁ নেতা-কর্মী আহত হয়। পুলিশ বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করে। একই সময়ে আড়াইহাজারে কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে পেট্রোল ঢেলে রাস্তায় আগুন দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি ছোঁড়লে পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কর্মীরা। এ ঘটনায়ও আহত হয় পাঁচজন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে। অপর এক ঘটনায় সকাল সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার বিসিক এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীধের ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ ও দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। তিনটি ককটেলসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে দুইজনকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের চতুর্থ দিন শুক্রবার সকালে হাটিকুমরুল-পাবনা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শ্রীখোলা মোড়ে মহাসড়কে পিকেটিং করছিল বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌছলে পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে প্রায় পাচটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় অবরোধকারিরা। এতে আহত হয় দুই পুলিশ কনস্টেবল। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারিদের ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়লে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ককটেলসহ দুই অবরোধকারিকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেছে ছাত্রদল কর্মীরা। শুক্রবার সকাল ১১টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের হাজীপাড়া এলাকায় সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অবস্থান করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে কর্মসুচী পালন করে। পরে পুলিশী বাধায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াতের অন্তত ৫৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। ল²ীপুর : ল²ীপুরে অবরোধে নাশকতার আশংকায় সদর উপজেলা, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর, চন্দ্রগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীসহ ১৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ (শুক্রবার) ভোররাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। নোয়াখালী : নোয়াখালীতে বিরোধী জোটের ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে বিএনপি’র ১৫ জন, জামায়াতের ২ জন ও শিবিরের ৩ নেতাকর্মী রয়েছেন।
উৎসঃ আমার দেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন