ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

বাম নেতাদের অভিমত এ সরকার অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য


 নবম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণ ও মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের বিষয়টিকে অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাম নেতারা। এজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।
পাশাপাশি জাতীয় পার্টির একইসঙ্গে বিরোধী দলে থাকা এবং মন্ত্রিপরিষদে স্থান পাওয়াকে একদলীয় ও বাকশালের নতুন সংস্করণ বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
তারা বলছেন, বিপুল জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে মন্ত্রিপরিষদের শপথের মাধ্যমে জনগণের অধিকারকে অসম্মান করা হয়েছে। এই অবৈধ কাজের মাধ্যমে সরকার দেশ পরিচালনার বৈধতা ও ন্যায্যতা হারিয়েছে।
সোমবার রাতে বাংলামেইলের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেশের বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা এসব মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ‘এই মন্ত্রিপরিষদ টেকনিক্যালি বৈধ। কিন্তু এর গ্রহণযোগ্যতা নেই। পাশাপাশি এর নৈতিক অধিকারও নেই।’
নির্বাচন থেকে শপথ গ্রহণ পর্যন্ত সবই অসাংবিধানিক ও অবৈধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন বাতিল করে সবার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ।’
অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘জগাখিঁচুড়ি মার্কা ভোটারবিহীন নির্বাচন, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষের আগেই সরকার গঠন, বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন সব কিছুই অবৈধ ও অসাংবিধানিক এবং গায়ের জোরে করা হয়েছে।’
জাপার বিরোধী দল ও একই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদে থাকার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদে সরকারের বিলের ওপর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখার মতো আর বিরোধী দল বলে কেউ থাকল না।’
নির্বাচনের আগে জাপার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ না করা এবং সবকিছু মিলে একটা হ য ব র ল অবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন জাসদের এই নেতা।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নবম সংসদ ভেঙে না দিয়েই দশমের শপথ ও কার্যভার গ্রহণ সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী একাদশ নির্বাচনের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সে অনুযায়ী তাকে আবার নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা দরকার।’ 
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করে শপথ গ্রহণ করেছেন মন্ত্রীরা। এতে জনগণের গণতান্ত্রিক ইচ্ছা ও অধিকার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
এ সরকারের নৈতিক বৈধতার লেশমাত্র নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিপুল মানুষের সম্মতি না থাকায় তারা সরকার পরিচালনায় বৈধতা ও ন্যায্যতা হারিয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণকে বঞ্চিত করে তাদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে, যা জাতির জন্য বড়ই লজ্জার।’
সরকারের এ কাজের পরে তাদের অনুতপ্ত হয়ে বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘দশম সংসদ ভেঙে না দিয়েই একাদশ সংসদের এমপি ও মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাড়াহুড়ো করে এভাবে এমপি-মন্ত্রীদের শপথ গণতন্ত্রের ইতিহাসে অভূতপূর্ব ঘটনা। এ নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খোদ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
উৎসঃ বাংলামেইল২৪

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন