ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৫

ক্রসফায়ারে নিহত ছাত্রদল নেতার স্ত্রী: রাজনীতি করাই কি আমার স্বামীর অপরাধ? তাহলে দেশের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হউক

স্ত্রী মুনিয়া পাভীন মুণীষা, ইনসেটে নিহত জনি
বাংলাদেশ বার্তা: গ্রেপ্তাকৃত ছোট ভাইকে দেখতে সোমবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান ছাত্র দল নেতা নূরুজ্জামান জনি। কথা ছিল ফিরে এসে অন্তসত্বা স্ত্রী মনীষাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। কিন্তু বর্তান সরকারের নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তাকে আর ফিরতে দেয়নি। ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন জেল গেইটে ছোট ভাইকে দেখতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্র দল নেতা নূরুজ্জামান জনি। পত্রিকায় প্রকাশ, হৃদয়বিদারক দৃশ্য তার বাড়িতে। শান্তনা দেয়ার ভাষা কারো নেই। ঘটনার আকর্ষিকতায় বাকরুদ্ধ তার অন্তসত্বা স্ত্রী মুনিয়া পাভীন মুণীষা। বাকরুদ্ধ মুনিয়া পাভীন মুণীষার তার স্বামীর কি অপরাধ? রাজনীতি করাই কতিার স্বামীর অপরাধ! তাই যদি হয়, তাহলে তো দেশের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন! তিনি বলেন, এই দেশে কোন আইন-আদালত কি নেই। আমার স্বামীকে যারা খুন করেছে সেই সন্ত্রাসীদের বিচার কি আমরা পাব না?  তার সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তায় অন্ধাকার দেখছেন তিনি। জন্মের আগেই পিতাকে বিদায় নিতে হলো নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য।
নিহত জনির স্বজনদের আহাজারি
জনির স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটক থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তারপর পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে জোড়াপুকুর বালুর মাঠ এলাকায় গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি কোন নাশকতায় জড়িত ছিলেন না বলে দাবি পরিবারের। রাজনীতি করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জনির বুকে, পিঠে, কোমরে ও পায়ে ১৬টি গুলির ছিদ্র পাওয়া গেছে। তবে পুলিশের দাবি, জনিকে নিয়ে সহযোগীদের ধরতে গেলে সহযোগীরা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছুড়ে। এসময় জানমাল রক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে জনির মৃত্যু হয়। জনির সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী দাবি করেছেন কোন অপরাধ ছাড়াই তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। 
মুনিরার মতো গোটা জাতি আজ বাকরুদ্ধ। এই সরকারের ৬ বছর ও জরুরী সরকারের ২ বছর দীঘ ৮ বছর যাবত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম-ক্রসফায়ার, গুম-খুন করা হচ্ছে কেন? দেশকে রাজনীতি ও নেতৃত্বশূণ্য করাই কি উদ্দেশ্য। মনীষার মতো দেশবাসী দাবী নিষিদ্ধ করা হউক রাজনীতি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন