ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৫

২০ দলের আন্দোলনে বেসামাল সরকার------ ডা. শফিকুর রহমান।

বিরোধী জোটের আন্দোলনে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে এবং সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত করে তার দায় ২০ দলীয় জোটের ওপর চাপাচ্ছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, আন্দোলনে গোটা দেশ আজ অচল। সরকার হত্যা, সন্ত্রাস ও গণগ্রেফতার চালিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করতে চাইছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, “সরকার ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত করে তার দায় ২০ দলীয় জোটের ওপর চাপিয়ে সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।” রিয়াজ রহমানের ওপর গুলির ঘটনায়ও আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা-মন্ত্রী তা-ই করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রংপুরের মিঠাপুকুরে চলন্ত বাসে বোমা হামলায় এক শিশুসহ চারজন নিহতের কথা উল্লেখ করে ডা. শফিক বলেন, “সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় যানবাহন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে এ ঘটনা কীভাবে সংঘটিত হলো জনগণ তা জানতে চায়।” তিনি বলেন, “আমরা এ ন্যক্কারজনক ও মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, যখনই দেশের কোথাও কিছু ঘটে, তখনই সরকার এবং সরকারদলীয় সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তা জামায়াত-শিবির ও ২০ দলীয় জোটের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। তদন্ত ছাড়াই এভাবে জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে মূলত প্রকৃত দুর্বৃত্তদের আড়ালের চেষ্টা করা হয়। ফলে বহু ঘটনার নায়করা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করব, এ ধরনের ঢালাও বক্তব্য-মন্তব্য পরিহার করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের ব্যাপারে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিরা আবুল-তাবুল বকতে শুরু করেছেন। সরকারি তাণ্ডবে জনগণ অস্থির হয়ে পড়েছে। সর্বত্রই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বিভিন্ন মহল থেকে সংকট নিরসনে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানালেও সরকার হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ ও গণগ্রেফতার চালিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে চাইছে।”
জনতার আন্দোলন কোনো ধরনের জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দমন করা যাবে না বলে সতর্ক করে শফিকুর রহমান দাবি করেন, আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জনগণ ব্যাপকভাবে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছে। সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সফল হবে না।
অবরোধ কর্মসূচিসহ চলমান আন্দোলন তীব্রতর করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন