ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬

সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ একজন মানুষ কি ভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ?

''সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ একজন মানুষ কি ভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ? এর বিচার করবে আল্লাহ। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার চাই '' সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানালেন মাদ্রাসা শিক্ষক ইদ্রিস আলীর পরিবার । 
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ মাদ্রাসা শিক্ষক ইদ্রিস আলী পান্নার লাশ মিলেছে জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামে। রঘুনাথপুর গ্রামের গোলাম কওছার আলী মন্ডলের ছেলে পান্না হরিণাকুন্ডুর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী ছিলেন। 

এদিকে একই দিন হরিণাকুন্ডুর ফলসি গ্রামে শহিদুল ইসলার পচা নামে এক সন্ত্রাসী র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত শহিদুল হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের মৃত তোরাপ আলীর ছেলে। 
শুক্রবার ভোরে এ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু থানায় আনা হয়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দীন জানান, শুক্রবার ভোরে হরিনাকুন্ডু পৌরসভা এলাকার জোড়া পুকুরিয়া মাঠে জামায়াত নেতা ইদ্রিস আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। নিহত ইদ্রিস আলী পান্নার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ ৮/৯টি মামলা রয়েছে। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মুসলীম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টার ছিলেন। 
এছাড়া শৈলকুপা উপজেলার মহিষাগাড়ি জামে মসজিদের ঈমামতিও করতেন তিনি। গত ৪ আগষ্ট থেকে সে নিখোজ ছিলেন। ওসির দাবী পান্না হুজুর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এদিকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ৯ আগস্ট ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্ত্রী মোছা বেগম ইদ্রিস। 
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে তার স্বামীকে পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছিলো, গত ৪ আগষ্ট রাত ৮টার দিকে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর বাজার থেকে কাপড় স্ত্রী করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ইদ্রিস আলী রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পৌছালে ৩/৪ জনের সাদা পোশাকের পিস্তল ও ওয়ারলেসধারী লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। স্বামীকে ক্রসফায়ারে হত্যার আশংকা করেন স্ত্রী। 
শুক্রবার লাশ উদ্ধারের পর ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে পান্নার ছেলে ফরহাদ, ভাই আব্দুল মান্নান, ভগ্নিপতি মহিউদ্দীনসহ তার স্বজনরা অভিযোগ করেন, পুলিশ বিশেষ কায়দায় হত্যা করে এখন সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজাচ্ছে। তাদের প্রশ্ন সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ একজন মানুষ কি ভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন