ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

ইতিহাস সাক্ষী দেয় বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়


ইতিহাস সাক্ষী দেয় বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। শেরাটন হোটেলের সামনে গান পাউডার দিয়ে বাস পুড়িয়ে ১১ জন মানুষ মারা, ৭০ জনকে অগ্নিদগ্ধ করা, লগী-বৈঠা দিয়ে দিনে দুপুরে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করা, বিশ্বজিৎকে নৃশংসভাবে হত্যা করা, বন্দর-রেল স্টেশন সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দেয়া, শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে ৭ জন মানুষ হত্যা ও অসংখ্য মানুষকে অগ্নিসংযোগ করা সহ নানা নাশকতামূলক কর্মকান্ডই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগই একটি সন্ত্রাসী দল। তাছাড়া অবাধ লুণ্ঠন, দুর্নীতি, রাষ্টের সর্বস্তরে দলীয়করণ, সন্ত্রাস, গুম-খুন, উৎপীড়ন, ভিন্নমত দমন ও মিথ্যা কুৎসা রটনা, নাশকতা, অন্তর্ঘাত সৃষ্টি, চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী তাদের নিত্তনৈমিত্তিক কাজ। হাজার হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিনা অপরাধে গ্রেফতার এবং বিনা উষ্কানীতে সরকার অনুগত আইন-শৃংখলা বাহিনী ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, সরাসরি গুলি করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। ক্ষমাসীনদের অপকর্ম তুলে ধরলে অথবা সমালোচনা করলে সংবাদপত্র, টেলিভিশন বন্ধ সাংবাদিকদের হুমকি ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে, সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে।
১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে বিএনপি চেয়ারপার্সন’র পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী জনাব রিয়াজ রহমান এর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে ঘৃণ্য হামলা, মৎস ভবন এর সামনে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে পুলিশ সদস্যদের দগ্ধ করা এবং রংপুর ও ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিয়ে নিহত-আহত করা হয়েছে। আমরা দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই বিএনপি কখনোই এধরনের নেক্কারজনক কাজ করেনা করতে পারেনা। এই সবই সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির কাজ। তা না হলে অপরাধীদের কেন ধরা হয় না? হাতে নাতে ধরেও কেন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে? কেন গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? ফেনীতে বিচারকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা নিক্ষেপ ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের পুলিশ-জনতা আটক করলেও তাদের বেআইনীভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, চলমান তীব্র আন্দোলনকে স্তিমিত করার হীন উদ্দেশ্যেই সুপরিকল্পীতভাবে ক্ষমতাসীনরা তাদের রাষ্ট্রীয়যন্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস, নাশকতা, নৈরাজ্য ও অন্তর্ঘাত চালিয়ে তার দায় আন্দোলনরত বিরোধী দলের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিরোধীদের উপর আরো উত্তেজিত করার উদ্দেশ্যেই এধরনের নাশকতা চালানো হচ্ছে এবং অদুর ভবিষ্যতে আরো অঘটন ঘটাতে পারে।
তাই পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং দেশের আপামর শান্তিকামী জনসাধরণ কে আরো সতর্ক ও সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তাহলেই আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের দেশ বিরোধী হীন ও ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে সামর্থ হবো এবং দেশের শান্তি-শৃংখলা ও জান মালের নিরাপত্তা বিধান করে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আরো বেগবান করে বিজয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন