নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুলিশ সদস্যরা । কখন কে কোথা থেকে ককটেল বা হাতবোমা ছুড়ে দেয়, তা জানা যাচ্ছে না। মুহুর্তেই ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা বিরাজ করছে পুলিশ সদস্যদের মাঝে।
নানা ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে অবরোধ ও হরতালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে, এর আগে বিএনপি-জামায়াতের টানা হরতাল-অবরোধে পুলিশের ওপর হামলা,
গাড়ি ভাংচুর এমনকি পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের বেদম মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহতও হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা সাধারন জনগনের পক্ষে । যখন যে দল খমতায় আসে , তাদের নির্দেশ পালন করতে হয় । রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার তারা, সাধারন জনগন তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে , জনগন একবারও ভাবে না , আমাদের ও পরিবার আছে ।গাড়ি ভাংচুর এমনকি পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের বেদম মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহতও হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য।
তিনি অনুরুধ করেন রাজনৈতিক ক্ষোভ তাদের উপর না ঝারতে ।
এবার নতুন করে অবরোধ ও হরতাল শুরু হওয়ায় আতঙ্ক কাটছে না পুলিশের মধ্যে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এসআই জানান, ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার আগে থানাতেই পুলিশের পোশাক খুলে সাদা পোশাকে বের হন তারা। ডিউটি সময়ের বাইরে সাধারণ মানুষের জটলা থেকেও দূরে থাকেন তারা। একই অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও। তবে নিম্নশ্রেণির কর্মকর্তা বা কনস্টেবলদের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জামায়াত-শিবির যে কোনো মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরস্থাপনা, থানা ও ফাঁড়িতে হামলা করতে পারে।হামলা এড়াতে প্রতিটি থানায় প্রধান ফটক রাতে বন্ধ রাখা হয়। পকেটগেট দিয়ে যাতায়াত করেন পুলিশ সদস্যরা।
আজিজুল হাকিম বাদল, সময়ের কণ্ঠস্বর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন