রংপুর অফিস : রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ আমবাড়ী এলাকায় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ স্থানীয় জামায়াতের ওয়ার্ড সেক্রেটারি কাঠব্যবসায়ী বুলবুল আহাম্মেদ মিন্টুকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশী পাহারায় গুলীবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ গ্রেফতারের পর তার শয়নকক্ষেই পুলিশ কাছ থেকে তার ডান পায়ে গুলী করে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, গ্রেফতারের পর তার লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার্থে তারা তার পায়ে গুলী ছুড়ে।
রংপুর পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক পিপিএম সাংবাদিকদের জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই মিঠাপুকুরের বাতাসন ফতেহপুর ঝাউলীদীঘি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনার অভিযুক্ত আসামীরা পায়রাবন্দের ইসলামপুর আমবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে। আমরা সেখানে অভিযান চালালে সংঘবদ্ধ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলী চালালে মিন্টু ডান পায়ে গুলীবিদ্ধ হয়। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে মিন্টু পুলিশী হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। মিন্টু একজন বোমারু এবং মিঠাপুকুরের ঘটনার অভিযুক্ত আসামী।
পুলিশের বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করেছেন তার স্ত্রী শাহজাদি বেগম। তিনি জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে আমার স্বামী বাড়িতে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যে অস্ত্রধারী পুলিশ বাড়িতে আমার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় আমি ও আমার ৫ বছরের কন্যা মিনুও আমার স্বামীর সাথে জেগে উঠি। আমার স্বামী খাটের নিচে লুকানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ সরাসরি আমি এবং আমার মেয়ের সামনেই স্বামীর পায়ে পরপর দুটি গুলী করে তাকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় আমি এবং আমার মেয়ে চিৎকার করতে থাকি।
সোমবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মিন্টুর ছবি এবং তথ্য চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াত নেতৃবৃন্দ। ই-মেইলে পাওয়া এক বিবৃতিতে রংপুর জেলা জামায়াত আমীর এটিএম আজম খান, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী, মিঠাপুকুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আমীর এনামুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত মারজান যৌথ বিবৃতিতে বলেন, নিরপরাধ জামায়াত নেতা মিন্টুকে পুলিশ বাড়িতে ঢুকে গুলী করে তাকেই আবার বোমারু বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা অবিলম্বে জামায়াত নেতা মিন্টুর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তারা বলেন, নিরপরাধ জামায়াত নেতা মিন্টুর কিছু হলে পরবর্তী যে কোন ধরনের পরিস্থিতির জন্য সরকার ও প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন