ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ‘আসন্ন’ বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ‘আসন্ন’ বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।
তিনি লিখেছেন, সাধারণ মানুষ, যারা সরকারের পক্ষে নন কিন্তু সরাসরি আন্দোলন সংগ্রামেও নাই, তারা কিছুটা বিভ্রান্ত বটে। সরকার ক্রমে সব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছে এই প্রপাগান্ডায় অনেকের মনে একটি দ্বিধান্বিত প্রশ্ন আছে যে, এই সরকারের পতন ঘটবে কি? উত্তর : অবশ্যই। সেটা আসন্নই বলা যায়।’
দৈনিক নয়া দিগন্তে শুক্রবার প্রকাশিত তার নিয়মিত কলামে তিনি লিখেছেন, ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম, ‘এরশাদ তোমাকে দেখামাত্রই গুলি করবে’। সে রকম একটা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেই সময়। তখনই বুঝেছিলাম এটা মারণকামড়ের মতো। সামরিক শাসকের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া স্রেফ অল্প কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র। তা-ই ঘটেছে। গতকাল (বুধবার) দেখছি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি যদি বোমা ফাটায়, তাহলে পাঁচজন লোক নিহত হতে পারে। এ দৃশ্য কোনো বিজিবি সদস্যের নজরে এলে ওই বোমা বহনকারীকে ক্যাজুয়ালটি (হতাহত) করা তার দায়িত্ব।’ (দেখুন প্রথম আলো, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫)।
ফরহাদ মজহার লিখেছেন, ‘না, এটা তার দায়িত্ব না। তার দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা করা। ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের গুলি করে হত্যার হাত থেকে বাঁচানো। কে বোমা হাতে চলাফেরা করছে, কিম্বা কে বোমাসদৃশ কিছু ফাটাবে সেটা তিনি আগাম জানতে পারবেন না, সেটা সম্ভব নয়। তার মানে তিনি বলছেন, কেউ বোমা ফাটাবে এমন সন্দেহ হলে তিনি গুলি করবেন। অথচ স্বীকার করছেন, ‘বিজিবির সবই লিথ্যাল (প্রাণঘাতী) অস্ত্র। বিজিবির সদস্যরা কাউকে গুলি করবে না। তবে কেউ আক্রমণ করলে জীবন বাঁচাতে গুলি করতে পারে।’
যদি বিজিবি গুলি না করে, তাহলে এইসব বলার কী দরকার! আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানো আর আগেভাগে কাউকে বোমা বহনকারী সন্দেহ করে গুলি করার মধ্যে ফারাক আছে। মানবাধিকার কর্মী হিসাবে আমি বিজিবির মহাপরিচালকের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করি। এটা তার এখতিয়ারবহির্ভূত মন্তব্য। এটা বলার কোনো আইনি বা সাংবিধানিক অধিকার তার নাই। আশা করি তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। বাংলাদেশ সামরিক শাসনের অধীনে নয়, কিম্বা শেখ হাসিনা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন বলেও আমরা শুনি নাই। আইনের অধীনে থেকে নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার রা করাই আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তব্য। বিজিবির অস্ত্র প্রাণঘাতী জেনেও তা নাগরিকদের ওপর ব্যবহারের চিন্তাটাই বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। নাগরিকদের হত্যা তো দূরের কথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন