প্রথম দফা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় বারের দশদিনের চার দিন মোট ১৪ দিনের রিমান্ড অতিবাহিত হবার পর অজ্ঞান অবস্থায় মাহমুদূর রহমান মান্না কে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । এ পর্যায়ে এরকম প্রশ্ন আসতেই পারে তিনি কেন অজ্ঞান হয়েছিলেন ? ঘটনার দিন সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের শেষে রাতের খাবার দেয়া হয় । অতিরিক্ত কাঁচা তেল আর লাল মরীচের গুড়ো মেশানো ''দুর্গন্ধ যুক্ত '' খাবার খেয়েই তিনি বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন । কি মেশানো ছিল সেই খাবারে ? গ্রেফতারের পর ২১ ঘণ্টা কোথায় রাখা হয়েছিল ? এই দুটো প্রশ্নের উত্তর কি কোনদিন জানা যাবে ? ।
ঢাকা মেডিকেলের মেডিকেল বোর্ডের আপত্তি উপেক্ষা করে কারা হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে কেন ডিভিশন না দিয়ে , কারা হাসপাতালে ভর্তি না করে সাধারন কয়েদীদের সাথে তাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হল ? কেন ? অসমাপ্ত ছয়দিনের রিমান্ড আমাদের আইনজীবীকে না জানিয়ে কেন গোপনে মঞ্জুর করে রাখা হল ? এ হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে কিন্তু কোথাও ভর্তি করা হচ্ছেনা । বারডেমে নেয়া হয়েছিল , পিজিতেও নেয়া হয়েছিল কিন্তু নানা আইন দেখিয়ে আবার কারাগার । এবার কি হবে ?
সিটি নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শের জন্যে দেখা করার অনুরধ জানানো হলেও দেখা করতে দেয়া হলোনা কোন উদ্দেশ্যে ? টেলিফোন সংলাপ তিনি তো অস্বীকার করেন নাই । এটা তো এখন আদালতের বিচার্য বিষয় হওয়া উচিত তাইনা ? তাহলে ২০ দিনের রিমান্ড কেন ? রিমান্ডে কি প্রস্তাব দেয়া হচ্ছিল ?
রিমান্ডের নামে অমানুষিক নির্যাতনের পর গুরুতর অসুস্থ্য মাহমুদুর রহমান মান্না কে গতকাল জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে আনা হয়েছে । এই ছবির মানুষটি কি গ্রেফতারের এক দিন আগেও দেখতে এমন ছিল ?
তাহলে কি আমরা ধরে নেবো এভাবেই আটকে রেখে একটা স্থায়ী বড় অসুস্থ্যতা সৃষ্টি করে আগামী এক দেড় মাসেই তাকে মৃত্যু বরন করানো হবে। কারন, গ্রেফতার হবার পর ২১ ঘন্টা অজ্ঞাত স্থানে অবশ্যই এমন কারও কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যার হুকুমেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং সে মান্না ভাইয়ের সাথে এমন আচরন করে ফেলে বা মান্না ভাই এমন কিছু জেনে বা দেখে ফেলেছেন যে সে এটা কোনদিন প্রকাশ হতে পারে এই রিস্ক নিতেই চাচ্ছেনা। তার কাছে হয়ত একজনকে হত্যা করা অত্যন্ত মামুলি ব্যাপার! এদেশে কি সত্য, ন্যায়, দেশপ্রেম আর গনতন্ত্রের কথা বলাদের এভাবেই শেষ করে দেওয়া হবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন