ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৫

সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট অংশ নেয়ায় নির্বাচন কমিশন ঘৃণ্য খেলা শুরু করেছে -রফিকুল ইসলাম খান


জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না করে বরং উল্টো বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করে সরকারের আজ্ঞাবহ দাসত্বের ঘৃণ্য নজির তৈরি করছে। কমিশন আশা করেছিল, ২০ দলীয় জোট নির্বাচনের বাইরে থাকবে আর তারা দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে সিটি কর্পোরেশনগুলো বর্গা দিবে। কিন্তু আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ায় কমিশন ৫ জানুয়ারির স্টাইলে ঘৃণ্য খেলা শুরু করেছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতোই যদি কোন প্রহসন করতে চায় তাহলে সেদিনই ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে এমন গণআন্দোলন ঘটানো হবে যে দখলদার শাসকগোষ্ঠী ও তার তাঁবেদাররা পালানোর পথ পাবে না। 
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমের জন্য দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ নির্বাচনের আগেই পরিবেশকে অস্থিতিশীল করছে। ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুর রহমানকে রিটার্নিং অফিস থেকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করা হয়। কোন প্রমাণপত্র ছাড়াই পুলিশ বলেছে ফৌজদারী মামলা আছে আর একথার ভিত্তিতেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এতে বোঝা যায় এই কমিশন কতটা আজ্ঞাবহ। তার বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ভীতি ছড়াতেই এর আগে এই প্রার্থীর বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছিল। তখন তিনি বাসায় থাকলেও কোন মামলার কথা জানায়নি বরং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতেই হুমকি দিয়েছিল। 
তিনি বলেন, আইজিপি শহিদুল হক বলেছেন, কমিশনের নির্দেশ মতেই দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। তাহলে কি বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের গণগ্রেফতার, বাসায় বাসায় তল্লাশি, হামলা ভাংচুর এসবই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হচ্ছে? এর জবাব কমিশনকেই দিতে হবে। 
তিনি বলেন, সরকার জোটের শীর্ষ নেতাদের কারাবন্দী ও অবরুদ্ধ রেখে একতরফা নির্বাচনী তামাশা করতে চায়। বিরোধী দলগুলোর অফিসগুলো এখানো খুলে দেয়া হয়নি। কাউন্সিলরদের বাসায় বাসায় পুলিশী তল্লাশি, আসবাব সরঞ্জাম ভাংচুর করা হচ্ছে। কমিশনার প্রার্থীদের বাসায় বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অবিলম্বে এমন খেলা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নাগরিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। 
জামায়াত নেতা বলেন, দেশে কারোই বাক স্বাধীনতা নেই। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কোন ইসলামবিরোধী কর্মকা- হয়নি। তাৎক্ষণিক মহিবুল্লাহ মহিম নামে একজন এর প্রতিবাদ করায় তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে সরকারের মিথ্যাচারিতার কোন প্রতিবাদও করা যাচ্ছে না। তবে সরকারি দলের তাঁবেদারদের মধ্য থেকেই এখন যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে এটাই সুনামি হয়ে জনবিচ্ছিন্ন দখলদার শাসকগোষ্ঠীকে ভাসিয়ে দিবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন