বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, ইসলামী চিন্তাবিদ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ ১১ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ-
“সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, ইসলামী চিন্তাবিদ, জনগণের প্রিয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে ১১ এপ্রিল রাত ১০টার পরে হত্যা করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। সাক্ষীদের পরস্পরবিরোধী ও অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য থেকে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হয়।
যে সোহাগপুরের কথিত ঘটনার অভিযোগে তাকে ফাঁসি কার্যকরের নামে হত্যা করা হলো তার সাথে জনাব মুহাম্মদ কামারুজামানের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বার বার বলেছেন, জীবনে কোনদিনও তিনি সোহাগপুর যাননি। ওই এলাকায় কোনদিন তাকে দেখেছে এ ধরনের কথা কেউ বলতে পারবে না। সরকার পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে। জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান তার পরিবারের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে জানিয়েছেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার বিচার অবশ্যই আদালতে আখিরাতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন নিজ হাতে করবেন।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর একজন ছাত্রকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার যে মহাষড়যন্ত্র ও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার যে ব্যবস্থা আওয়ামী সরকার করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা সরকারের এই চক্রান্ত ও বিভৎস হত্যার নিন্দা, প্রতিবাদ এবং ধিক্কার জানাই।
জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রক্ত বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিকট অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তার রক্ত বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
যারা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করেছে এবং ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে ইতিহাস কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না। এই জালেম সরকারকে বিচারের নামে অবিচারের এবং পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জনতার আদালতে একদিন জবাবদিহি করতে হবে। আমি জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রতিবাদে নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করছিঃ
১) ১২ এপ্রিল রবিবার শহীদ কামারুজ্জামানের শাহাদাত কবুলের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান।
২) ১৩ এপ্রিল সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।
ঘোষিত এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে তোলার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সকল জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিঃদ্রঃ এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন