জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হত্যা করেছে। এতে ইসলামী আন্দোলনের অকুতোভয় কর্মীদের একবিন্দু পরিমাণ বিচলিত নন।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াত -শিবিরের শত শত কর্মী হত্যা করে দেশ থেকে ইসলামী আন্দোলন নিভিয়ে দিতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় সব আইনগত ও মানবিক অধিকার হরণ করে কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলায় আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করেই শহীদ কামারুজ্জামানের প্রতিফোঁটা রক্তের ঋণ শোধ করা হবে।
মহানগরী আমীর বলেন, কথিত যুদ্ধাপরাধ আইন আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ তো নয়ই বরং দেশীয় মানও রক্ষা করা হয়নি। বিচারপতির স্কাইপ কেলেংকারি, ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে সাক্ষী অপহরণ, বিচার নিয়ে মন্ত্রীদের আগাম মন্তব্য দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে ট্রাইব্যুনাল ব্যপকভাবে সমালোচিত।
দেশের সর্বস্তরের নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান, পরামর্শ, মতামত উপেক্ষা করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তার ঘৃণ্য প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করে চলেছে। সরকার তার এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে কেবল বাংলাদেশই নয় সারাবিশ্বে এটি একটি নিকৃষ্ট রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকলো।
তিনি অবিলম্বে জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানান।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন- রক্ত ঝড়িয়ে, হত্যা করে কোন আদর্শকে কখনো স্তব্ধ করা যায়নি। আদর্শিক সংগ্রামকে বিজয়ী করতেই যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল কর্মীরা জীবন রক্ষার জন্য কোন রাজনৈতিক গড়াপেটা করে না, রাষ্ট্রপতির মার্জনার তোয়াক্কা না করে শাহাদতের অমীয় সুধা পান করতেই ফাঁসির মঞ্চে সুস্থীর ভাবে হেঁটে যায় সে আন্দোলনকে বাধা গ্রস্থ করার শক্তি এই সরকাররে নইে।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের শাহাদাত স্মরণে রাজধানীসহ সারাদেশে জামায়াতের কর্মীরা দোয়া মাহফিল করেছে। গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করায় তাদের আন্তরিক মুবারকবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের ইসলামপ্রিয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার ঘৃণ্য আওয়ামী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে গণআন্দোলনের অংশ হিসাবে সোমবারের হরতালসহ সকল কর্মসূচী সফল করতে রাজপথে নেমে এসে এ কলঙ্কজনক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান রফিকুল ইসলাম।
পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন