জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি খবর বিশেষ গুরুত্বের সাথে প্রচার করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এইসব সংবাদমাধ্যম বলছে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও একজন ইসলামী নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে! মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পরপরই মিডিয়াগুলোতে এই সংবাদ গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়। আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এপি, নিউইয়র্ক টাইমস, ইয়াহু নিউজ, এবিসি নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, জি নিউজ, নিউজিল্যান্ডের এনজিহেরাল্ড, অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ, মালয়েশিয়ার দ্য স্টার.কম, সংযুক্ত আরব আমিরাতের গালফ নিউজসহ অনেক খ্যাতনামা সংবাদ-সম্প্রচার মাধ্যমে একজন ইসলামী নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে বলে খবর প্রচার করা হয়। এই সব সংবাদ মাধ্যমের বেশিরভাগই সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কামারুজ্জামানকে একজন শীর্ষ পর্যায়ের ইসলামী নেতা বা জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। বিবিসি তাদের অনলাইনে খবরটির শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতিকের ফাঁসি। এখানে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ঢাকার কারাগারে এক ইসলামী রাজনীতিককে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এপি কামারুজ্জামানের ফাঁসির খবরটির শিরোনাম দিয়েছে ''যুদ্ধাপরাধের জন্য বাংলাদেশে ইসলামী দলের কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।' মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি তাদের খবরে বলেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ইসলামী দলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে শনিবার ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। আল জাজিরা এ বিষয়ে তাদের খবরের শিরোনাম করেছে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসলামী নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে বাংলাদেশ। খবরটিতে কামারুজ্জামানের পরিবারের ভি চিহ্ন প্রদর্শনের ছবিও প্রকাশ করা হয়। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়াও কামারুজ্জামানকে একজন ইসলামী নেতা বলে পরিচয় করিয়ে দিয়ে খবরটি বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে। এছাড়া, অন্য অনেকগুলো সংবাদমাধ্যম এপি, বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরার বরাত দিয়ে খবরটি প্রচার করেছে।
তাজা খবর এর সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন