ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৫

বিনা শুল্কে আশুগঞ্জ দিয়ে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় চাল যাচ্ছে: প্রথম চালান আগরতলায়

কোন প্রকার শুল্ক বা মাশুল ছাড়াই আশুগঞ্জ বন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা  রাজ্যের আগরতলায় পৌঁছেছে তৃতীয় দফার ৯৩৭ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান।
শনিবার সকালে ১৮টি কাভার্ডভ্যানে করে ভারতের ত্রিপুরায় প্রথম চালান পৌঁছায়।  তৃতীয় দফার দ্বিতীয় জাহাজটি আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালের মুজিব-ইন্দিরা নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারত সরকারকে বাংলাদেশ সরকার কোনো প্রকার শুল্ক ছাড়াই ৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করার অনুমতি প্রদান করে। এ চুক্তির প্রথম চালানে গত আগস্ট ও অক্টোবর মাসে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় নিয়েছে ভারত সরকার। তৃতীয় দফায় বাকি ২৫ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রথম চালানের জাহাজ গত ২৮ মার্চ দুপুরে আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে এসে পৌঁছায়। তবে পরিবহন সঙ্কটের কারণে দু’দিন আটকে থাকার পর গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতীয় চাল পরিবহন শুরু হয়। গত তিন কার্যদিবসে ৩৮টি ও শনিবার সকালে ১৮টি কাভার্ডভ্যানে চাল পরিবহন করার ফলে মোট ৯৩৭ মেট্রিক টন চাল এখন আগরতলার খাদ্য গুদামে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কাস্টমস ও ভ্যাট কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আল মামুন সরকার বলেন, এ সব খাদ্যপণ্য ১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের নৌপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরার আগরতলায় যাচ্ছে। তাই এ সব পণ্যের জন্য সরকারিভাবে কোনো প্রকার শুল্ক বা মাসুল আদায় করা হচ্ছে না।আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, শনিবার ১৮টি কাভার্ডভ্যানে করে চাল আগরতলায় পৌঁছেছে। ফলে এমভি নিউটেক-৬ এ আসা ৯৩৭ মেট্রিক টন চালের চালান শেষ হয়েছে।প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আগরতলার গৌহাটি ও মেঘালয়ের শিলং হয়ে ত্রিপুরায় যেতে ১,৬৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করলে এই দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ৩৫০ কিলোমিটারে। ফলে ভারতের পরিবহন খরচ বিপুলহারে সাশ্রয় হয়। আশুগঞ্জ থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। তাই ভারতের অনুরোধে কোনো প্রকার শুল্ক ছাড়াই নতুন করে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ত্রিপুরায় নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে সড়কপথে কাভার্ডভ্যানে করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় নেওয়া হচ্ছে এ সব চাল। এর আগে বাংলাদেশের নদীপথ ব্যবহার করে ২০১২ সালে ত্রিপুরায় পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারত এই আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে যাবতীয় ভারী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল। 
উৎসঃ তাজা খবর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন