নাজমুল আহসান রাজু : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদন খারিজ করে দেয়া হলে আপিলের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল থাকে। রিভিউর নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটির বিচার কাজ শেষ হয়। গত ৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। দু’দিন পর ৮ এপ্রিল রিভিউ আবেদনের পূর্ণাঙ্গ আদেশে স্বাক্ষর করেন আপিল বিভাগ। স্বাক্ষরের পর রায়ের অনুলিপি বিকাল ৪টা ৪৬ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারির পর আদেশের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পৌঁছে পৌনে ছয়টায়। রিভিউর আদেশে বলা হয় ‘আমরা রিভিউ আবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখলাম যে, আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে আপাত কোনো ভুল সর্ম্পকে কিছুই বলা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে মি. খন্দকার মাহবুব তার বক্তব্যে রিভিউ আবেদনের সীমাবদ্ধতা অকপটে স্বীকার করেছেন। ফলে তাৎক্ষণিক রিভিউ আবেদনটি খারিজ (ডিসমিসড) করা হলো।’ গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় সাড়ে তিনমাস পর প্রকাশ হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে রায়টি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা রায়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। পূর্ণাঙ্গ রায়টি ৫৭৭ পৃষ্ঠার। রায়ের ৫৭৬ পৃষ্ঠায় ছিল সংক্ষিপ্ত আদেশ। পূর্ণাঙ্গ রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশে বলা হয়েছে- আপিল আংশিকভাবে মঞ্জুর হলো। আপিলকারী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে প্রথম অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হলো। ২ ও ৭ নম্বর অভিযোগে তার দন্ড সংখ্যারিষষ্ঠতার ভিত্তিতে বহাল থাকলো। ৩ নম্বর অভিযোগে তাকে সর্বসম্মতভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হলো তবে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। ৪ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তার সাজা মৃত্যুদন্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হলো।
আপিলের রায়ে জ্যোষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা রায়ে বলেন, আপিল আংশিকভাবে মঞ্জুর হলো। ২, ৪ এবং ৭ নম্বর অভিযোগে আপিলকারী দোষী না হওয়ায় (মুহাম্মদ কামারুজ্জামান) খালাস দেয়া হলো। ৪ নম্বর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যৃদন্ডের স্থলে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হলো। ২ নম্বর অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে ব্যর্থ। কারণ দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্তকে খালাস দেয়া হলো। ৩ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ডের আদেশ সংশোধন করে যাবজ্জীবন সাজা দেয়াই যুক্তিযুক্ত। কারণ ঘটনাস্থলে অভিযুক্তের উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। ৪ নম্বর অভিযোগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ৭ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে এই অভিযোগটিও প্রসিকিউশন সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে পারেনি। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন ‘কামারুজ্জামান কোনো কোনো দিন সকালে, কোনো কোনো দিন দুপুরে আবার কোনো কোনো দিন সন্ধ্যার পর ডাক বাংলোর ক্যাম্পে আসতো। যদি তাই হয় তাহলে কিভাবে অভিযুক্ত প্রণিধানযোগ্য আল বদর নেতা হলেন? কিভাবে সাক্ষীরা তাকে দেখেছে এবং ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ বিষয়গুলো আরো বিস্তারিত ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা নিতে পারতো। তাই অভিযুক্তকে খালাস দেয়া হলো।
তারও আগে গত বছরের ৩ নবেম্বর আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আদেশে রায় ঘোষণা করেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে প্রসিকিউশনের ৩য় অভিযোগ- শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গণহত্যার অভিযোগে আপিল বিভাগের চার বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করলেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে। চতুর্থ অভিযোগে গোলাম মোস্তফাকে হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আপিল বিভাগ। দ্বিতীয় ও সপ্তম অভিযোগে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া দন্ড সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে বহাল রাখা হয়। দ্বিতীয় অভিযোগে এক শিক্ষককে নির্যাতনের ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছিল। আর সপ্তম অভিযোগে গোলাপজান গ্রামের পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। প্রথম অভিযোগে শেরপুরের কালীনগর গ্রামের বদিউজ্জামানকে হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিলেও আপিল বিভাগ তাকে খালাস দিয়েছে এর মধ্যে ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে অব্যাহতি দিয়েছিল। এই দুটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেনি। আপিল না করায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
ওই রায়ের পর কামারুজ্জামান রিভিউ আবেদন করতে পারেন না বলে ব্যাখ্যা দেন সরকারের এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কিন্তু কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা জানান রিভিউ করার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার। এটা কোনো অবস্থাতেই খর্ব করা যায় না। এরপর রিভিউ সংক্রান্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের আবেদন নিষ্পত্তি হলে সেখানে বলা হয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগের রায় রিভিউর আবেদন করতে পারবেন দন্ডিত ব্যক্তি ও সরকারপক্ষ (প্রসিকিউশন)। সুপ্রিম কোর্টের রুলস অনুযায়ী রিভিউ করতে ৩০ দিনের মধ্যে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রিভিউর আবেদন নিষ্পত্তি হবে। আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্ত কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। গত ২৪ নবেম্বর রিভিউর এই রায় প্রকাশ হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম ২০১৩ সালের ৯ মে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। ট্রাইব্যুনালের রায়:
দুই অভিযোগে মৃত্যুদন্ড : মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের মধ্যে সোহাগপুর হত্যাকান্ড ও গোলাম মোস্তফা হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল।
সোহাগপুর হত্যাকান্ড : ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই আলবদর ও রাজাকাররা পাকিস্তানী সেনাদের নিয়ে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। প্রসিকিউশনের আনা এই অভিযোগে কামারুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনাল।
গোলাম মোস্তফা হত্যাকান্ড : ১৯৭১ সালের ২৩ আগস্ট আলবদর সদস্যরা গোলাম মোস্তফাকে ধরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে আল-বদর ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে তাকে গুলী করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায়ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে শাস্তি প্রদান করা হয়।
দুই অভিযোগে যাবজ্জীবন : মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে বদিউজ্জামান ও জহুরুল ইসলাম দারাসহ অজ্ঞাত ছয়জন হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। ১৯৭১ সালের ২৯ জুন সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার রামনগর গ্রামের আহম্মেদ মেম্বারের বাড়ি থেকে বদিউজ্জামানকে অপহরণ করে নির্যাতন করে পরদিন হত্যা করা হয়। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লখ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালে ২৭ রমযান ময়মনসিংহের গোলাপজান রোডের টেপা মিয়া ও তার বড় ছেলে জহুরুল ইসলাম দারাকে ধরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় আল-বদর ক্যাম্পে নেয়া হয়। পরদিন ওই দু’জনসহ সাতজনকে আল-বদররা গুলী করলে টেপা মিয়ার পায়ে লাগে। তিনি পালাতে সক্ষম হন। অন্য ছয়জনকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায়ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করে।
এক অভিযোগে ১০ বছর সাজা : অধ্যক্ষ হান্নানকে নির্যাতনের ঘটনায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে মাথা ন্যাড়া করে চুনকালি মাখিয়ে পুরো শহর ঘোরানো হয়। এ ঘটনায় কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
দুই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি : রায়ে প্রসিকিউশনের আনা পাঁচ ও ছয় নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে কামারুজ্জামানকে ওই দুই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরের চকবাজার থেকে লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমানকে অপহরণ করে বাঁথিয়া ভবনের রাজাকার ক্যাম্পে নির্যাতনের পর থানায় চারদিন আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের নবেম্বর মাসে আলবদর সদস্যরা টুনু ও জাহাঙ্গীরকে ময়মনসিংহের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে যান। টুনুকে সেখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। জাহাঙ্গীরকে পরে ছেড়ে দেয়া হয়। এ দু’টি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কামারুজ্জামানকে এর থেকে খালাস দেয়া হয়।
মামলার বিবরণ : গত ২০১৩ সালের ১৬ এপ্রিল কামারুজ্জামানের মামলার শেষ ধাপে প্রসিকিউশন ও ডিফেন্সের যুক্তি উপস্থাপন সমাপ্ত করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল-২। এরপর ৫ জুন রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রসিকিউশন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুনরায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর ১৬ এপ্রিল কামারুজ্জামানের মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ১৬ মে ডিফেন্সপক্ষ এবং ২০ মে প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন। এরপর ২০১২ সালের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ১৫ জুলাই থেকে এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ প্রসিকিউশনের ১৮ জন সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে কামারুজ্জামানের পক্ষে গত ৬ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৫ জন ডিফেন্স সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন মো. আরশেদ আলী, আশকর আলী, কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল, বড় ভাই কফিল উদ্দিন এবং আব্দুর রহিম।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের ফটক থেকে। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন