ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

কামারুজ্জামানের শেষ ইচ্ছা


জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি কারাগারে তার বাবার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আব্বা চিন্তিত ও বিচলিত নন। আমরাও বিচলিত নই। তিনি সুস্থ আছেন। তার মনোবল অটুট আছে। আব্বা আমাদের হাসিমুখে বিদায় দিয়েছেন। উনি আমাদের সবসময় সৎপথে চলতে ও সত্যের উপর অবিচল থাকতে বলেছেন।’
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে প্রবেশ করেন। ৭টা ৫০ মিনিটে তারা বের হন।
হাসান ইকবাল জানান, তার বাবা বলেছেন, ‘এটি একটি ভ্রান্ত রায়। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং যেসব বিচারপতি এ মামলার রায় দিয়েছেন, যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের বিচার আল্লাহ তায়ালা করবেন। নতুন প্রজন্ম একদিন সত্যের উদঘাটন করবে। আমার বিশ্বাস, আমার মৃত্যুর পর এদেশে ইসলামী আন্দোলন আরো জাগ্রত হবে।’
হাসান ইকবাল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রায়ের কপি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়নি। তাই রায়ের কপি পাওয়ার পর ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়ে উনি (কামারুজ্জামান) সিদ্ধান্ত নেবেন। এর আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সরাসরি দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। তাকে একটি দরজার বাইরে রেখে আমাদের সাথে কথা বলতে দেয়া হয়েছে। এটি যদি শেষ দেখা হয়, তাহলে আমাদের একটা আফসোস থেকে যাবে যে, আমরা পিতাকে শেষবারের জন্য বুকে জড়িয়ে ধরতে পারিনি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এ দেখা শেষ নয়। আমরা আবার দেখা করার সুযোগ পাব।’
কামারুজ্জামানের এই ছেলে আরো বলেন, ‘যে মামলায় তাকে দণ্ড দেয়া হয়েছে, সে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ও বিচারপতিদের সামনে ভিন্ন ভিন্ন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয়, এটি মিথ্যা বক্তব্য ও মিথ্যা সাক্ষ্য।’
কামারুজ্জামান মানসিকভাবে শক্ত এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলেও জানান হাসান ইকবাল। তিনি বলেন, ‘রায়ে তিনি (কামারুজ্জামান) বিচলিত নন। এমনকি তার পরিবারের কোনো সদস্যও এই রায়ে বিচলিত নন। কারণ এটি একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক রায়। রায় ওনার হাতে পৌঁছার পর আমাদের আইনজীবীরা দেখা করবেন এবং প্রাণভিক্ষার বিষয়ে কথা বলবেন। আশা করি, আমরাও আরেকবার দেখা করব, এটাই শেষ দেখা নয়।’
এর আগে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে প্রবেশ করেন কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন্নাহার, দুই ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি, হাসান ইমাম ওয়াফি, মেয়ে আতিয়া নূরসহ পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। তাদের কাছে থাকা অনুমতিপত্র পরীক্ষা করে কারাগারে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কামারুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। 
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী নয়া দিগন্তকে জানান, বিকেল সোয়া তিনটার দিকে তারা কারা কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি পেয়েছেন। সেখানে বিকেল পাঁচটায় কামারুজ্জামানের সাথে তার পরিবারকে দেখা করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। ফলে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকলো।
২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছরের ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে আদেশ দেন। নিয়ম অনুযায়ী গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন দায়ের করে আসামি পক্ষ। কামারুজ্জামানের আপিল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চের অপর তিন সদস্য ছিলেন, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী।
এদিকে আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের সাথে পরবর্তী আইনি বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেইলেও তাদের অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
তার অন্যতম আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমরা অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে তা নাকচ করে দিয়েছে। তবে বিকেল ৩টার দিকে চিঠি পাঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে বলেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী বলেন, ‘এ ধরনের রায়ে সবসময়ই পরিবারকে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী পরিবারকে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এ পর্যায়ে আলোচনার জন্য আইনজীবীদের সাক্ষাতের সুযোগ নেই। এ কারণে তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রী কারাগারে রাখা হয়েছে। ওই রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এর বিরুদ্ধে কামারুজ্জামান রিভিউ আবেদন করলে আজ সোমবার তাও খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। 
নয়া দিগন্তের সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন