ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

এই যে আপু শুনছেন.....


 খুব তো সাদা শাড়ি আর লাল পাড় পরে পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কোন বান্ধবী কার থেকে বেশি সাজবেন, কার দিকে ছেলেরা কত বেশি তাকাবে, তা ভেবে নিশ্চয়ই রাত-দিন গুনছেন।


এবার একটু ভাবুন তো, আপনি হঠাৎ মারা গেছেন। ডাক্তার আপনার পালস-চোখ দেখে বললো: ‘সে মারা গেছে’। এরপর আত্মীয় স্বজনের কান্নাকাটি শুরু হলো। কিছুক্ষনের মধ্যে নিচতলার মানুষ এসে বললো: “লাশ বেশিক্ষণ ফেলে রাখা যায় না, তাড়াতাড়ি কবর দিতে হয়”। এরপর আপনার বিছানার চাদর মুড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হলো বাড়ির গ্যারেজে, চুলায় চড়ানো হলো বরই পাতা সমৃদ্ধ গরম পানি। বাইরে থেকে আসলো বোরকা পরিহিতা কয়েকটা মহিলা। এরপর শুরু হলো আপনাকে গোসল দেয়া। গোসলের পর আত্মীয়দের সামান্য কান্নাকাটি, এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হলো মসজিদে জানাজার জন্য, জানাজা শেষ। এরপর কাধে করে চললেন কোন করবস্থানে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে, শুধূ আপনাকে কবরে নামানো হলেই সবাই বাড়ি ফিরবে। আপনার বাবা-ভাই দুইজনই কবরে নেমেছেন। দুইপাশ থেকে ধরাধরি করে, আপনার কোমড়ের নিচে গামছা দিয়ে নামানো হলো মাটির ঘরে। এরপর সবাই উঠে গেলো। একে একে বাশ-চাটাই দিয়ে ঢেকে পুরো কবর ঢেকে দেওয়া হলো। শুরু করলো সবাই মাটি ছোড়া। আপনি নিচ থেকে দেখলেন সামান্য আলোর কনাটুকুও হারিয়ে গেলো। এই যে আপু শুনছেন ! আপনি এখন ঘন অন্ধকারে, মাটিতে শুয়ে আছেন। কারেন্ট চলে গেলে, চোখ বন্ধ করে দেখবেন কেমন অন্ধকার, ঠিক তেমন। এরপর মাটি দেওয়া শেষ, সব আত্মীয়রা যে যার মতে চলে গেলো। 
এরপর হঠাৎ দুইজন ব্যক্তি এসে আপনাকে তুললো আর তিনটি প্রশ্ন করলো:
তোমার রব কে ?
তোমার দ্বীন কি ?
তোমার রাসূল কে ?

যারা দুনিয়াতে আল্লাহকে ভয় পেয়েছেন, নবীজির আদেশ নির্দেশ মেনেছেন তারাই কিন্তু ঐ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবে। আর যারা আল্লাহ-রাসূলের অসংখ্য নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ‘বাঙালী সংস্কৃতি’, ‘অসাম্প্রদায়িকতা’, ‘থাক না একটু করলে কি হয়’, এগুলো বলে পহেলা বৈশাখ পালন করেছেন, তারা কিন্তু ঐ কঠিন মুহুর্তে সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেনা। আর প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে, তা খোদ সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
তাই আপু ! এখন একটু সুন্দর করে সাজলে সবাই বাহবা দিবে, কিন্তু আপনি মারা যাওয়ার সাথে ঐ লোকগুলো কিন্তু আপনাকে বাহবা দেওয়া তো দূরের কথা, ঘরেই রাখবে না, আপনাকে যত তাড়াতাড়ি পারে মাটির নিচে রেখে আসবে, আপনার সুন্দর চেহারার তখন কোনই কদর থাকবে না। 
তাই আপু ! দুনিয়ার সামান্য আনন্দের মোহে নিজের দ্বীন ধর্মকে বাদ দিবেন না, একদিন কোন কঠিন মুহুর্তে হয়ত এই গরীবের কথাই আপনার মনে পড়বে।

DESWA

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন