নাইজেরিয়ার সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী মুসলিম নেতা মুহাম্মাদু বুহারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজয় মেনে নিয়ে বুহারিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন। মঙ্গল ফলাফল ঘোষিত হয়।
সর্বশেষ ফলাফলে গুডলাকের চেয়ে ২০ লাখ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বুহারি।
পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের প্রশংসা করলেও সন্ত্রাস সহিংসতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বুহারির দল অল প্রোগেসিভ কংগ্রেসের মুখপাত্র লাই মোহাম্মাদ জানান, প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন জেনারেল বুহারিকে বিজয়ী মেনে অভিনন্দন জানিয়েছে।
জোনাথন বলেন, ‘এই পদক্ষেপের(অভিনন্দন জানানোর) জন্য তিনি নায়ক হয়ে থাকবেন। অনিশ্চয়তাও নাটকীয়ভাবে কমে যাবে।’
নাইজেরিয়ার ইতিহাসে এটি স্বরণীয় ঘটনা। কারণ এরআগে সেখান ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারেনি। ১৯৬০ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর নাইজেরিয়ায় হয় সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে না হয় নামে মাত্র নির্বাচন হয়েছে। অনেক ভোটার হতাশ হলেও এই ফল নাইজেরিয়ার গণতন্ত্র আরো গভীর করবে।
ভোটের পর বিপজ্জনক ধর্মীয় ও আঞ্চলিক সমস্যার কারণে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে বিজয়ী বুহারি পান ১৫ মিলিয়ন ভোট। আর গুডলাক পেয়েছেন ১২.৮ মিলিয়ন ভোট।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর কানো ও কাদুনায় বুহারির সমর্থকরা নেচে-গেয়ে, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে আনন্দ করছে। ৭২ বছর বয়সী বুহারি এই নিয়ে চারবার নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ১৯৮৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর পর ১৯৮৪-৮৫ পর্যন্ত প্রথম দফায় নাইজেরিয়া শাসন করেন তিনি।
অন্যদিকে, ২০১০ সাল থেকে নাইজেরিয়া শাসন করছিলেন জোনাথন। তবে ২০১১ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নানা সমস্যায় জর্জরিত নাইজেরিয়া। সবচেয়ে বড় সমস্যা জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে তার কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।
অনেক ভোটার বলছেন, বোকো হারামকে পরাজিত করতে বুহারি অনেক বেশি ভালো অবস্থানে আছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন