ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

রাজনীতিতে কি হচ্ছে কি হতে পারে: বিএনপি কেন ব্যর্থ শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ:

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিকদের রাজনীতি এক চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে দেখেও এখনো কারো হুশ হচ্ছে না। কাউকে আর দোষারোপ করার অবস্থায় নেই কেউ। কারণ নেতৃত্বের কার দোষে এটা হচ্ছে তা খুঁজে পাওয়া এখন আর দুস্কর নয়। পুরো জাতি বুঝেছে কোথায়ও এমন কোন আঁতাত হয়েছে যার জন্য ক্রস ফায়ারে মৃত বিএনপির ২০/২৫ জন ও জামায়াতের ৬০ জন ও অন্যান্য শত শত গুম হওয়া একটিভিস্ট'র তাজা প্রানের উপর দাড়িয়ে আঁতাত করতেও কারো বুক কাঁপেনি।ভারতের দালালি করে বাংলাদেশীদের জন্য রাজনীতি করতেই হবে এমনটি কি শুধুই ক্ষমতার জন্য? আজ ভারত বিরোধী কোন শক্তিই আর বিএনপির নেতৃত্বকে যে বিশ্বাস করে না সেটি জানতে বিজ্ঞ হতে হয় না। দক্ষিন এশিয়া ভারতের কাছে পুরোটা তুলে দিতে যুক্তরাষ্ট্রও যে অনিচ্ছুক; সেটি বোঝার ক্ষমতাও যাদের নাই তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র যে কোন চোখে দেখে তার খতিয়ান যুক্তরাস্ট্রের কোন ব্যক্তির অফিসের দোরগোড়ায় দাড়িয়ে পোঁজ দেয়া কূটনীতিকেরা বোঝার কথা নয়। চিত্র সেখানেও ভিন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেন আজ চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার খতিয়ানও আজ পরিস্কার করা দরকার।
হঠাৎ করেই যে পুরোপুরি বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হয়েছে গুম, খুন ও হাজার হাজার পঙ্গু হয়ে যাওয়া, নির্যাতন এবং কারাবরণ করা নাগরিকদের ত্যাগের বিষয়টিকে তাই শুধু নয়। বিগত ৭ বছরের মত এবারও আন্দোলনকে রাস্তায় কবর দিয়ে দিল বিএনপি। জাতীয়তাবাদীদের পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভারত নিযুক্ত অরাজনৈতিক ও দলের বাইরের লোকজনের প্রভাবের কারণে এটি হয়েছে। যাদের সিদ্ধান্ত ও প্রভাবের কাছে হেরে বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে জাতীয়তাবাদী শক্তি ও নেতৃত্ব। নাগরিকদের ত্যাগের চেয়েও যখন সিটি নির্বাচন বড় হয়ে যায় তখন ভারতীয় ছকে রাজনীতির সেই ধারাবাহিক খেলার কোথায় যেন মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে স্পস্ট করে একটি বার্তা সবাইকে পৌছে দেয়া দরকার আর তা হলো ভারতীয় স্বার্থের অনুকূলে দালালী করে এদেশে কেউ জাতীয়তাবাদী বা দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব চালিয়ে নিতে পারবে না।
মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, শহীদ জিয়াউর রহমান, শহীদ সিরাজ সিকদারের এই দেশে তাদের রাজনীতির নামে এমন কোন ভারতীয় দালাল এই পূর্ব বাংলার জমিনে রাজনীতির প্রতিষ্ঠা পাবে না এটাও ঐ সকল আঁতাত্কারীদের ভেবে নেয়া উচিত। একসময়ে মুসলিম লীগের প্রভাব ছিল আকাশ চুম্বি। কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হুশিয়ার করে বলেছিলেন সামন্তবাদী ধ্যান ধারণা পাকিস্তানের ঐক্যকে বিনস্ট করবে। ধংস করে দেবে পাকিস্তান সৃষ্টির মূল চেতনাকে। হয়েছিল তাই। কিন্তু যে জনগোষ্ঠি পাকিস্তান বানিয়েছিল তাদের কেউ কেউ ভারতীয় ফাঁদে পা দিলেও নাগরিকরা ছিল ঐক্যবদ্ধ। সেই জনগোষ্ঠীই পাশে এসে শক্তিশালী করেছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতকে। সেই জনগোষ্ঠী আনন্দে রাস্তায় নেমেছিল শেখ মুজিবর রহমান সরকারের করুন পরিণতির পরে।
জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের বিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন, কিন্তু একটি প্রশ্নের জবাব আজ জাতির কাছে পরিস্কার কেন জিয়াউর রহমান হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী ড: কামাল সিদ্দিকী তিনবার বিএনপি সরকারের সময়ে মুখ্য সচিবের মত সর্বোচ্চ আমলার পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পেরেছিলেন। কেন জিয়াউর রহমানের নাম নিশানা একের পর এক মুছে ফেলার পরেও একবারের জন্যও বিএনপির পক্ষ থেকে শক্ত প্রতিরোধ গড়া হয় নাই। কেন সশস্ত্র বাহিনীগুলোর ডকট্রিন, পোশাক এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল পরিবর্তন হলেও বিএনপি কোন আওয়াজ তোলে নাই। কেন ভারত বিরোধী শক্ত প্রতিরোধ যোদ্ধা ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পরে এতগুলো মানুষ প্রাণ দিলেও সেই আন্দোলনকে ধংস করে দেয়া হলো? কেনই বা সালাহউদ্দিন আহমদের মত দেশপ্রেমিকের গুম হওয়ার বিষয়টিকে হালকাভাবে এখনো দেখা হচ্ছে ? জোটবদ্ধ থাকার পরেও জামায়াতে ইসলামীকে একের পর এক ধংস করা হচ্ছে, এতগুলো মানুষকে শুট অতে মারা হলো, জামায়াতের পক্ষে কোন অবস্থান নেয়াতো দুরের কথা নিজ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিষয়ে কেন এত নিরবতা? সব কিছু বাদ দিলেও মাহমুদুর রহমানের মত নি:স্বার্থ দেশপ্রেমিক এতদিন কারাগারের নির্যাতন ভোগ করছে তার বিষয়েই বা এত উদাসীনতা কেন? কেন এই সকল মানুষগুলোকে নিয়ে নেতৃত্বের এত ভয়? পারবেন কেউ মাহমুদুর রহমান আর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মত একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী তৈরী করতে?
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আজ গুলশান আর বিদেশের কিছু অপদার্থের হাতে বন্দী করে দিয়েছে ভারতীয় 'র'। কখন যে কার প্রেসক্রিপশনে কোন অর্বাচিনের লেখায় রাজনীতির ওহি নাজেল হয় বলা খুবই মুশকিল। রাজনীতি কি জমিদারী নাকি যে নেতা কর্মীরা নেতা বা নেত্রীকে ভয় পাবে? আমরা দেখছি সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে যেন রাজার সামনে ট্যাক্স প্রদানে ব্যর্থ কিছু গোলামের দল। দাগ খতিয়ান ছাড়া লোকজন নেতা নেত্রীর চারপাশ আটকে রাখে, নেতার স্টাইলে পোশাক পরে এমনকি চুল কেটেও পিচ্চি টাইপের ব্যক্তিগত কর্মচারী নেতার পেছনে দাড়িয়ে থেকে দলের লোকজনের বিরক্তি সৃষ্টিকারী হলেও ড্যাম কেয়ার। কেউ জানে না দলের কোন স্তরের কর্মী এরা যে তাদেরকে সকল নেতা কর্মীর বাধ্যতামূলক সমীহ করে চলতে হয়? কেউ কথা বলতে পারে না ওই সকল কর্মচারীদের নাক্গলানোতে। কি ঢাকায় কি বিদেশে সব একই অবস্থা।
নাগরিকদের রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিয়েছে হিংস্র ম্যানিয়াক হাসিনা। আর সেই রক্তের নদীর উপরে বসেই কয়েকটি চেয়ার পাওয়ার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো দলীয় কোন্ ফোরামের সাথে আলোচনা করে তা কেউই জানলো না। জানলো না জোটের নেতারাও। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কেন আন্দোলনে গর হাজির ছিল তার ব্যাখ্যা দেবার সময় এসেছে। শমসের মবিন চৌধুরী আর সাবিহ উদ্দিনের মত চিহ্নিত ভারতীয় দালাল আর তাদের সাথে সম্পৃক্ত ও সুপারিশকৃত টারজানের দল যখন পলিসি আর ডিপ্লোমেসীর হর্তাকর্তা হয় আর কর্মচারীরা কয়েক যুগের অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতাদের উপর ছড়ি ঘুড়ায়, ধমক দেয়, তখন নেতারাও যদি নিজেদের সরিয়ে রেখে নেতৃত্বকে শিক্ষা দিতে চায় সেটা কি খুবই দোষের? তবে এটাই যে সত্যি তা বলছি না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যে 'র' এর পারপাস বাস্তবায়নে ছিল তাতো সবাই জানে। আর এরা যে জমিদারীর গোলাম নয় যেমন নেতৃত্বের কর্মচারীরা চারিদিকে; এটি নেতৃত্ব ভুলে না গেলেই রাজনীতিটা অন্তত থাকতো।
আজ হাসিনা নতুন চাল দিয়েছে, নির্বাচনে যদি বিএনপি ৩ টি মেয়রও লাভ করে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। আগেও ৪/৫ টা জিতেছিল। কেউই আর নাই। এর নাম আওয়ামী লীগ আর তাদের প্রকৃত প্রভু ভারত। ২/৩ টা মেয়র দেয়ার বিনিময়ে হাসিনা পেয়ে যাবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স। ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বিবৃতি দিয়ে সেটি কনফার্ম করেছেন। সামনে জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া পেয়ে যাচ্ছেন ২ বছরের এক্সটেনশন। নিয়োগ হচ্ছে ৫০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ যার সবাই আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ক্যাডার। বিচার বিভাগ? পুরোটাই দখলে। আপনারা ক্ষমতায় গেলেও একটি চুল স্পর্শ করার ক্ষমতাও আপনার থাকবে না। মাথার উপর শেখ মুজিবের ছবির যন্ত্রনা নিয়েই ভারতীয় গোলামী করতে হবে। তবে ক্ষমতা পাওয়া এখনো দু:স্বপ্ন মাত্র। আর এমন ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক বন্ধুরা বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই যে আর আগাবে না তা একেবারেই পরিস্কার যা জেনে রাখলে মনো:কস্ট কম হবে। দেখা যাক বিজেপি তাদের ক্ষমতায় বসায় কিনা আর দেশপ্রেমিক ভারত বিরোধী জনগোষ্ঠি তা মেনে নেই কিনা! তবে রাজনীতিতে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের এই যে বিপর্যয় এর দায়ভার বিএনপির নেতৃত্বকেই শোধ করতে হবে। এটিই ইতিহাসের শিক্ষা।
লেখক: রাজনীতি, আইন ও সংবাদকর্মী এবং স্ট্রাটেজিক এনালিস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন