বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ফাঁসি, গুম, খুন, দেখা মাত্রই গুলি ও হত্যা করে বাংলাদেশের জমিনে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রগামিতা ঠেকানো যাবেনা। যে মাটিতে শাহাদাতের রক্ত ঝড়েছে সেই প্রিয় জন্মভূমিতে ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্যই একের পর এক জামায়াত নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। বিনাবিচারে হত্যা ও নিয়ন্ত্রিত বিচারিক হত্যা করে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্বশূণ্য করার চক্রান্ত সফল হবেনা।
বিশ্বইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে বিভিন্ন দেশে সাজানো মামলায় বরেণ্য ইসলামী মণিষীদের হত্যা করা হয়েছে কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের সাহসী সংগ্রামকে কেউ ঠেকাতে পারেনি।
শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করেও বাংলার জনগনের আদর্শিক সংগ্রামকে দুর্বল করা যাবেনা। বরং শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ইসলাম প্রিয় জনতা যখন জীবন বাজি রেখে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন সেই জমিনে ইসলামের বিজয় অনিবার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নেবে না। ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ নয়। রাজনৈতিক, সামাজিক আর কোন প্রচলিত বিচারে এই আন্দোলনের সাফল্য নির্ণয় করা যায়না। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে তাকওয়ার ভিত্তিতে যে কোন জুলুমের বিরুদ্ধে দ্বিধাহীন সংগ্রাম অব্যাহত রাখার মধ্যেই এর সুনিশ্চিত সাফল্য।
তিনি আরো বলেন, যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষনেতাদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার মহত্তম সংগ্রাম থেকে আল্লাহর বাছাইকৃত প্রিয় বান্দাদের নিবৃত্ত রাখা যায়নি। দখলদার শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতেই যুগে যুগে হাক্কানী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় হত্যা-জুলুম চাপিয়ে দয়িছে। কিন্তু যখনই কোন জনপদের রাষ্ট্রশক্তি যেখানকার ইসলাম, ইসলামী সংগঠন, ইসলামী নেতৃত্ব ও ওলামায়ে কেরামকে তাঁদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে তখন সেই জনপদ ইসলামের দুর্জয় ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্র যা ভৌগলিকভাবে মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু এই জমিনের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও জাতীয় সিদ্ধান্তের কারণেই এই জমিন মুসলিম অধ্যুষিত জাতিরাষ্ট্র হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয় নিয়েই বিশ্ব মানচিত্রে স্থান দখল করে আছে। এদেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত তারা ইসলামকে নিয়েই বাঁচবে, ইসলামের জন্যই মরবে। তাই কোন শাসকচক্রের রাজনৈতিক উন্মত্ত ক্রোধের কারনে এই দেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন থেকে সরে আসবেনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন