প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও গোপনে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কোণঠাসা দলটি একদিকে নির্বাচন নিয়ে বিরোধিতা করলেও অত্যন্ত গোপনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমর্থিত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ৯৩টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামে ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতার জন্য দল-সমর্থিতদের গোপন মনোনয়ন দিয়েছে জামায়াত। যদিও তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিবৃতিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে অাসছে দলটি।
সূত্র মতে, অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতারের ঘোষণা, ফৌজদারি মামলা, ধরপাকড় ও প্রার্থিতা বাতিলের অাশঙ্কায় এখন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের নাম প্রকাশ করছে না জামায়াত। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষার করার নির্দেশনা রয়েছে। ফলে, চূড়ান্তভাবে এখন পর্যন্ত কারা দলের সমর্থন পেয়ে মনোনীত হবেন, বিষয়টি সাধারণ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অজানা।
তবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মনোভাব কী হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সমর্থিত প্রার্থীদের বিষয়ে মুখ খুলবে না জামায়াত। এমনকি ইসি থেকে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করার পর নাম প্রকাশ করা হলেও নীরব থাকবে দলটি।
সূত্রের যুক্তি, বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়ে চাঙ্গা করা হলেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে এটি শুধুই এখন পর্যন্ত অনুমান।
তবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে এমন একটি সূত্রের দাবি, আগামী ১ ও ২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে জামায়াত। এর অাগে প্রকাশ করা হলে সরকারের ‘ষড়যন্ত্রে’ তাদের নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ করা হতে পারে। এ কারণে প্রায় সব ওয়ার্ডেই একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। একজন বাদ পড়লে বিকল্পপ্রার্থী তৈরি থাকে। ঢাকায় দুই সিটিতে অন্তত ২০টি ওয়ার্ড জোটের সমর্থন জামায়াত। দক্ষিণ সিটিতে পল্টন, যাত্রাবাড়ী, রমনা, মতিঝিল এলাকার ১৩টি ওয়ার্ডে এবং উত্তরে মিরপুর, রামপুরা, ভাটারা ও বাড্ডায় সাতটি ওয়ার্ডে জোটের সমর্থন চায় জামায়াত।
এর অাগে গত শনি ও রবিবার অনেকটা নীরবে ঢাকার ৯৩টি ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দেয় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। গতবারের মতো শোডাউন না করে নিভৃতে, চুপচাপ এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র উত্তোলন এবং দাখিল করে দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা।
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম এর সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন