ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৫

ফাঁসির সেলে কামারুজ্জামানকে যেমন দেখে আসলাম


04 Apr, 2015 মতিউর রহমান আকন্দ: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সাথে আমরা ৫ জন আইনজীবী ৪ এপ্রিল শনিবার সাক্ষাৎ করি। ৫ এপ্রিল রবিবার মহামান্য আপীল বিভাগে রিভিউ শুনানীর প্রস্তুতীর জন্য জনাব মুহাম্মমদ কামারুজ্জামান আমাদেরকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই সাথে তিনি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের উপর সরকারের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথা ব্যক্ত করেন।

জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সাথে মামলার প্রস্তুতী সংক্রান্ত বিষয়ে ৩৫ মিনিট আলোচনা হয়। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়, অবিচল ও আল্লাহর উদ্দেশ্যে জীবন উৎসর্গ করার পূর্ণ প্রস্তুতী নিয়ে আছেন। এটা নিয়ে তার সাথে আমার কারাভ্যন্তরে চতুর্থ সাক্ষাৎ। অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে এবার তাকে আরো প্রাণবন্ত, দৃঢ় প্রত্যয়ী ও আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হয়েছে। অত্যন্ত নরম প্রকৃতির কামারুজ্জামান ভাইকে আপোষহীন মনোভাবে দেখে আমরা উৎসাহীত ও উদ্দীপ্ত হয়েছি। তাকে হত্যা করার সরকারী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেও তার মনে দূর্বলতার লেশমাত্র নেই। তিনি মামলার প্রস্তুতীর পাশাপাশি সরকারের ষড়যন্ত্র, তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়ার চক্রান্ত, ইসলামী আন্দোলনের উপর অব্যাহত জুলুম-নির্যাতন, চলমান হিংসাত্মক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, নতুন প্রজন্ম ও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।

১) ট্রাইব্যুনালের রায়টি সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের উপর নির্ভর করে প্রদান করা হয়েছে


জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী সংস্থা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক কাহিনী রচনা করে আমার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এই মামলায় সরকার, নিজ দলীয় লোকদের দিয়ে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সাথে আমার দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। সোহাগপুর পল্লীর কথিত ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ত থাকাতো দূরের কথা, আমি জীবনে কোনদিন ওই এলাকায়ও যাইনি। যারা আমাকে চিনেন এবং জানেন তারা কেউ একথা বলতে পারবেন না যে, কোন দিন ওই এলাকায় তারা আমাকে দেখেছেন। সরকারের সাজানো মিথ্যা সাক্ষ্য, ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমাকে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমি ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেছি। মহামান্য আপীল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে আমাকে সাজা প্রদান করেছেন। আমি আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়টি গভীর মনোযোগের সাথে পড়েছি। আমার কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে আমার বিরুদ্ধে প্রদত্ত এ রায়ে অনেক ভুল রয়েছে। আশাকরি রিভিউ আবেদন শুনানীতে মাননীয় আপীল বিভাগ সেই ভুল সংশোধন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।’

২) মাননীয় আদালত আমার বক্তব্য গ্রহণ করবেন ও আমি খালাস পাব ইনশাআল্লাহ্


আপীল বিভাগে রিভিউ পিটিশনের উপর শুনানীর জন্য প্রয়োজনী দিক নির্দেশনা দিয়ে জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য, উপাত্ত ও বিভিন্ন নজির উপস্থাপন করে আদালতে সত্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে হবে।’ এজন্য আইনজীবীদেরকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতী নেয়ার জন্য তিনি নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘মহামান্য আপীল বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করলে আমি খালাস পাব ও মুক্তি পেয়ে জনগণের মাঝে ফিরে আসবো ইনশাআল্লাহ্।’

৩) সত্যের কাছে অসত্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে


জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান মহাগ্রন্থ আল কোরআনের সূরা আম্বিয়া, সূরা সফ, সূরা আনফাল, সূরা বাকারা, সূরা আল-ইমরান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মহান রাব্বুল আলামীন কোরআনের ঐসব সূরাসহ বিভিন্ন স্থানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন , ‘সত্যের দ্বারা অসত্যকে তিনি নিশ্চিহ্ন করে দেবেন।’ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এই ঘোষণা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সত্যের দ্বারাই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। মিথ্যা ও গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। মিথ্যার আঘাতে সত্যের অগ্রযাত্রা কখনো ব্যাহত হতে পারে না। বরং অসত্য ও মিথ্যার প্রতিটি আঘাতে সত্য আরো বেগবান হয়। যারা সত্য প্রতিষ্ঠার সৈনিক তাদেরকে মনে রাখতে হবে, মিথ্যার প্রতি নতিস্বীকার করে কোনদিন সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সত্যের নিকট অসত্য এবং মিথ্যা ছিন্নভিন্ন এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

৪) ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত কখনো সফল হবে না


জনাব কামারুজ্জামান বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার যে ষড়যন্ত্র বর্তমান সরকার করেছে তা কখনো সফল হবে না। কিছু লোককে শহীদ করে, কিছু লোককে পঙ্গু করে একটি আদর্শবাদী আন্দোলনকে কখনো দমন করা যায় না। যারা নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য মানুষের উপর জুলুম এবং নির্যাতন করেন এবং মানুষকে হত্যা করেন তাদের পরিণতি ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বাংলাদেশে মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ইসলামী ব্যক্তিবর্গের চরিত্রের উপর কলঙ্কারোপ করা হচ্ছে। আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের অসম্মানিত করা হচ্ছে। গণগ্রেফতার, হত্যা, গুম ও অপহরণ করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে। জুলুম-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে এ কথা নির্দিধায় বলা যায়, এসব অত্যচারী শাসকেরা কোন অবস্থাতেই রক্ষা পাবে না। তাদের উচিৎ অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। অতীতের কোন জালেম সরকারই শেষ রক্ষা পায়নি। ধ্বংসই অত্যাচারীর চূড়ান্ত পরিণতি।’

৫) একদিন বাংলাদেশের জমিনে ইসলাম বিজয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ্

জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের রক্ত ঝরেনি। আন্দোলনের কর্মীদের এ রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না।’ তিনি কারাগারে আটক তরুণদের কারাবরণের দৃশ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের এ ত্যাগ ও কুরবানী কখনো বৃথা যেতে পারে না। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশের এই জমিনে ইসলাম বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহর দ্বীনের এই অগ্রযাত্রা রুখার সাধ্য কারো নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই দেশ শাহ-জালাল, শাহ-মাকদুম, শাহ-পরান ও অলি-আওলিয়ার দেশ। তাদের সেই চেতনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে আন্দোলিত করবে। জনগণ জেগে উঠবে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ একমাত্র ইসলাম। এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন অবশ্যই বিজয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ্।’

৬) চূড়ান্ত ফায়সালা আল্লাহর হাতে

জনাব কামারুজ্জামান বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আল্লাহ্র হুকুম ছাড়া কোন প্রাণীর মৃত্যু হয় না। দুনিয়ার জীবন সফলতা, ব্যর্থতা মূল্যায়নের স্থান নয়। এর মূল্যায়ন হবে আদালতে-আখিরাতে। সেদিন বিচারকের আসনে বসবেন স্বয়ং রাব্বুল আলামীন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক। কেউ সেদিন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে না। কোন জালেম সেদিন পার পাবে না। আমার মৃত্যু কিভাবে হবে সেটি নিয়ে আমি মোটেই বিচলিত নই। কারণ আল্লাহ যেভাবে চাবেন সেভাবেই আমার মৃত্যু হবে।’ তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর ২০১৪ আপীল বিভাগে আমার রায় ঘোষণার পর আইনমন্ত্রী আমাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করার প্রস্তুতী নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ফায়সালা সেটা ছিল না। তাই আইনমন্ত্রী তার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এর পর ৫ মাস অতিবাহিত হচ্ছে। আল্লাহ্ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ্ যে কয়দিন চান সে কয়দিনই আমি বেঁচে থাকব। জীবন এবং মৃত্যুর ফায়সালা সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। সুতরাং আমি আল্লাহর ফায়সালার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখি।’

৭) শহীদি মৃত্যুর জন্য আমি প্রস্তুত


জনাব কামারুজ্জামান বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আল্লাহ যে কদিন দুনিয়ায় আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন, কেউ আমাকে হত্যা করতে পারবে না। আল্লাহ যেদিন চাইবেন আমাকে উঠিয়ে নিতে, সেদিন কোন শক্তিই আমাকে আটকিয়ে রাখতে পারবে না। সত্যের জন্য জীবন দিতে পারা এক মহা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী রাসূলদের পরেই শহীদদের মর্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন। শাহাদাত মানুষের জীবনকে মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত করে। শহীদি মৃত্যু জীবনকে সফল করে। জান্নাত প্রাপ্তি নিশ্চিত করে। যে মৃত্যুর মাধ্যমে জান্নাতের গ্যারান্টি দেয়া হয়েছে আমি সেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে চাই। এজন্য আমি মোটেই বিচলিত নই।’

৮) আমি দেশের কল্যাণের জন্য সর্বদা ভূমিকা রেখেছি


জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। মানুষের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমি আমার আমার মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। কোন ধরণের হঠকারিতা ও গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে দেশে অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টির কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা কখনো আমার দ্বারা হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, নিয়মতান্ত্রিকতা ও প্রাতিষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই জাতি তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পারে।

’৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক মন্ত্রী এবং এমপির সাথে বহুবার বৈঠক করেছি। তখন আমি যুদ্ধাপরাধী ছিলাম না। জামায়াতের উত্থান এবং অগ্রগতিতে দিশেহারা হয়ে সরকার আমাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করে দুনিয়া থেকে আমাকে বিদায় দিতে চায়। এখানেই সরকারের পরাজয়ের ইঙ্গিত নিহিত রয়েছে। আমি আমার প্রিয় দেশবাসীর জন্য যে ভূমিকা রেখেছি, দেশের জনগণ একদিন তার মূল্যায়ন করবে।’

৯) আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও জবাবদিহীতাই আন্দোলনের মূল শক্তি


কামারুজ্জামান ভাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ আন্দোলন আল্লহ্র সন্তুষ্টির জন্য। মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট জবাবদিহীতা ছাড়া আর কারো কাছে জবাব দিহীতার কোন চিন্তা মাথায় থাকলে আন্দোলনে যথার্য ভূমিকা পালন করা যায় না। আমি বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ইসলামের সুমহান আদর্শ মানুষের হৃদয়কে প্রশস্ত করে। চিন্তা এবং চেতনাকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ করে। কোন ধরণের সংকীর্ণমনতা ও পরশ্রীকাতরতার স্থান ইসলামী আন্দোলনে নেই। এ আন্দোলনের কর্মীরা যতদিন আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও জবাবদিহীর অনুভূতি নিয়ে সংগঠনের কাজ করবে, অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, ততদিন দুনিয়ার কোন অপশক্তি তাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আদর্শিক চেতনা, নৈতিক মূল্যবোধ ও চরিত্র মাধুর্য দেশবাসীর মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। চরিত্র, উন্নত আমল ও নৈতিকতা দিয়ে মানুষের হৃদয়কে জয় করতে হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে সমাদর করতে হবে। আন্দোলনে পরামর্শভিত্তিক কাজ ও পরকালের সাফল্যকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এ আন্দোলনের মূল নিয়ামক এবং নির্দেশিকা হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। সেখান থেকেই শিক্ষা নিতে হবে।’

১০) আমি দেশবাসীর নিকট সালাম জানাই ও দোয়া চাই


জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি জীবনে যেখানেই গিয়েছি সেখানেই আন্দোলনের কর্মীরা হৃদয় উজার করা ভালোবাসা দিয়ে আমাকে আলিঙ্গন করেছে। আমি আটক হওয়ার পর থেকে আমাকে মুক্ত করার জন্য দেশবাসী আন্দোলন এবং সংগ্রাম করেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যে ভূমিকা রেখেছে আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকল প্রচেষ্টা একমাত্র আল্লাহর জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ এর বদলা দিবেন। আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে, ছিটিয়ে থাকা কর্মী ভাইদের প্রতি আমার সালাম জানাই ও তাদের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে অন্যায়, অসত্য এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে আপোষহীন থেকে তার পথে লড়াই করার তাওফিক দান করেন। আমি যেন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহ্র পথে অবিচল এবং দৃঢ় থাকতে পারি। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন ॥

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন