বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল তানাসাক পতিমাপ্রগর্নের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ রাটকে বলেন, আন্দামান সাগরে অভিবাসীদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং থাইল্যান্ডে তাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কেরি।
শুক্রবার প্রায় ৮০০ অভিবাসী নিয়ে একটি নৌযান ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ভেড়ে। তবে অন্য অনেক নৌকাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব নৌকায় থাকা লোকজন তীব্র খাদ্য ও পানিসংকটে আছে। জাতিসংঘের আহ্বান সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না।
এসব বিষয়ে রাটকে বলেন, এ সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় প্রায় তিন হাজার অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছে। তারা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অভিবাসী ইস্যুতে মানবিক বিষয় হিসেবে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোহিঙ্গাদের রক্ষায় হোয়াইট হাউসের তাগিদ
এদিকে, মিয়ানমার থেকে সাগরপথে পাড়ি দেওয়া রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবন রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তাগিদ দেওয়া হয়।
হোয়াইট হাউস সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস দক্ষিণ চীন সাগরের একটি অংশে চীনের মালিকানা দাবি করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ১০টি দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন