মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেণ্টেটিভের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকমিটির শুনানীতে জামায়াত সম্পর্কে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া অভিযোগের এবং আজগুবি প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৩ মে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেণ্টেটিভের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকমিটির শুনানীতে ভিত্তিহীন, অসত্য, অবাস্তব ও মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে যে সব আজব বক্তব্য রাখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতনের যে সব অভিযোগ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা অভিযোগকারীর মনগড়া বক্তব্য ছাড়া আর কিছু নয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। মানবাধিকার-নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুস্থ রাজনীতির ধারা বিকাশে জামায়াত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত নিয়মতান্ত্রিকপন্থায় গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। জামায়াত সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘনের কোন ঘটনা জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দলীয় সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছিল জামায়াত তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে এ সব ঘটনার সাথে দায়ী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাববধানে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল। ব্লগার অভিজিৎ রায় পুলিশ বেষ্টনীতে নিহত হবার পর এ ঘটনারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে দোষী বক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। এ ধরনের তদন্তের ব্যবস্থা গৃহীত হলে জামায়াতের পক্ষ থেকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল।
আমাদের এ বক্তব্য জামায়াতের ওয়েব সাইটে এখনও দেখা যাবে। কিন্তু জামায়াতের সে সব দাবির প্রতি সাড়া না দিয়ে এবং দোষী ব্যক্তিদের সনাক্ত না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অসত্য অভিযোগ উত্থাপন করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা আশা করি রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সকলেই কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন