রমনা পার্কে প্রতিদিনের মত আজও ব্যায়াম করতে এলেন বিশিষ্ট চলচিত্র অভিনেতা নায়ক শেখ আবুল কাশেম মিঠুন। ব্যায়াম শেষে মিঠুন যখন বাসার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠবেন। তখন তিনি দেখতে পেলেন কিছু লোক মানুষের মাঝে বই বন্টন করছে। ঐ লোকগুলিই এক সময় মিঠুনের গাড়ির দিকে আসতে লাগল। তাদের একজন মিঠুনের গাড়ির জানালা দিয়ে মিঠুনকে একটি বই অফার করল। মিঠুন তাদের থেকে বই নিতে অস্বীকৃতি জানাল। কারন বইটি ছিল বিশ্ব বরণ্য মুফাস্সের আল্লামা মওদুদীর হাকীকত সিরিজের এক খন্ড। আর আল্লামা মওদুদীর ব্যাপারে মিঠুনের ছিল নেতিবাচক ধারনা। তাই তিনি বইটি নিতে অস্বীকার করেন। লোকগুলি মিঠুনকে ২য় বার অফার করলে তিনি আর না করতে পারলেন না। মিঠুন তখন তাদেরকে বলল,"ঠিক আছে রেখে যান ,সময় হলে পড়ে নিব"। সে বইটি এক অবসরে পড়ে নিল মিঠুন। বইটি পড়ার পর মিঠুনের মনে গভীর চিন্তার জাগ্রত হল। জীবনের অর্ধেক সময় চলচিত্রের মত এক জাহেলীয়্যাতে ডুবে ছিলেন তিনি।
পাপ আর নানা অপকর্মের মধ্যে জীবনের অর্ধেক সময় চলে গেল। আজ আল্লামা মওদুদীর এ বইটি পড়ার পর মিঠুনের মনে যেন এক জান্নাতী শান্তি অনুভব পেতে লাগলেন। এই বইটি তাকে নিয়ে এলো জান্নাতের পথে। মিঠুন এ বইয়ের লেখকের আরও কিছু বই খুঁজে খুঁজে পড়তে লাগলেন। আর বই বিলি কারি সেই মানুষ গুলোকে তিনি পেয়ে গেলেন। আস্তে আস্তে তাদের সান্নিধ্য পেয়ে চলচিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে আনলেন। এরই মধ্যে কবি মতিউর রহমান মল্লিকের সাথে তার পরিচয় গঠে। এই সুবাদে কোরআন হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যের ব্যপক অধ্যয়ন করেন।
তারপর আবুল কাশেম মিঠুন শুরু করেন নতুন এক জীবন। তিনি শুরু করেন ইসলামের আলোকে কিভাবে সংস্কৃতি ও শালিনতার মাঝে ইসলাম কে উপস্তাপন করার নিয়ম। পরে তিনি নায়ক তথা জাহেলী যুগ থেকে ফিরে এসে সত্যের পতাকাবাহী কাফেলার একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে নিজের পরবর্তী জীবিন কে ইসলাম তথা ইসলামী আন্দলনে উৎসর্গ করে নেন নিজেকে। এই আবুল কাশেম মিঠুন গতরাত ২টায় চিরদিনের জন্য দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আবুল কাশেম মিঠুনকে জান্নাতুল ফেরদাওস দান করূন। আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন