ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

মানবপাচারের সিন্ডিকেটের সঙ্গেও সরকার দলীয় স্থানীয় এমপি বদির সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে

সাগর বিধৌত কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অবাধে অবৈধ ইয়াবার ব্যবসার পর সম্প্রতি আলোচিত সাগরপথে সর্বনাশা মানবপাচারের সিন্ডিকেটের সঙ্গেও সরকার দলীয় স্থানীয় এমপি বদির সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মানবপাচারের সিন্ডিকেট ও এদের গডফাদাররা এমপি বদির সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট। এদের বেশিরভাগই বদির স্বজন ও অনুসারী। অনুসন্ধানে উঠে আসে, অবৈধ এসব চক্রের সামনে-পেছনে থেকে মদদ যোগান কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি বদি।

সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রপথে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের নিয়ে অবৈধ মানবপাচারের ঘটনা ও সাগরে ভেসে বেড়ানো অবৈধ অভিবাসীদের জীবন-মরণ সংকট সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলেছে।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত অসংখ্য অসহায় রোহিঙ্গা আর লোভে পড়া ও অপহরণের শিকার বাংলাদেশি যুবকরা এই সর্বনাশা মানবপাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়ে জীবন ক্ষয় করছে।
২০০০ সাল থেকে প্রকাশ্যে চলছে মানবপাচার। রোহিঙ্গা নাগরিক তজর মুল্লুকের দেখানো পথ ধরে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় এবং অপহরণের শিকার হয়ে সাগরে ভাসতে থাকা ট্রলারে চড়ে বসে। জলপথে এভাবে মানবপাচার করে এ পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার মুক্তিপণ লেনদেন করেছে পাচারকারীরা।
পাচারের শিকার লোকজনের অনেকেই পথেই মারা গেছে। কারো সলিল সমাধি হয়েছে, কারো কারো ঠাঁই হয়েছে থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলের গণকবরে।

তবে বরাবরই কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কৌশলের কারণে আড়ালেই থাকছে গডফাদাররা। মানবপাচারের পেছনের মূল হোতা ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতার নাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানলেও তা গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোয় আসছে না। তবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এমপি বদির ঘনিষ্ঠজন ও অনুগতরাই মানবপাচার ও হাজার কোটি টাকার হুন্ডি ব্যবসার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাচারে সহায়তাকারী হিসেবে কিংবা পাচারের টাকা লেনদেনে জড়িতদের বেশির ভাগ লোকই স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন আক্তার ও সাইদের কাছের আত্মীয়। তাদের চাচা পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রহমান এমপি বদির ছোট বোনের স্বামী। ফলে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা এলাকায় দাপটের সঙ্গে অবস্থান করছেন। পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রহমানের সৎভাই হামিদ হোসেন পাচারকারীর তালিকায় ১৩৭ নম্বরে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন