বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, যত বাধাই আসুক না কেন ছাত্রশিবির তার উদ্দেশ্য পানে এগিয়ে যাবেই। চূড়ান্ত সফলতা অর্জনে প্রতিটি নেতাকর্মীকে অটল অবিচল থাকতে হবে।
তিনি আজ ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের এক মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শাখা সভাপতি আসাদুল্লাহ আদিলের পরিচালনায় এসময় বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরের উদ্দেশ্য হলো কুরআনের আলোকে ছাত্রদের জীবনকে গঠন করে জাতিকে সৎ, যোগ্য ও আদর্শ নাগরীক উপহার দেয়া। কিন্তু এ লক্ষ্য অর্জনের প্রতিটি পর্যায়ে রয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার পাহাড়। আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে অসৎ লোকের নেতৃত্ব। রাষ্ট্রীয় ভাবে অসৎ তৎপরতার স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনীতি করণ ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়ে যোগ্য নাগরীক তৈরির পথকে রুদ্ধ করা হচ্ছে। এমন কি যোগ্য নাগরীক গড়ার কারিগর শিক্ষকদের নানা ভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় অযোগ্যদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অযোগ্যদের দিয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরীক তৈরি করার সম্ভব নয় যা ইতিমধ্যেই জাতি বুঝতে পেরেছে। অন্যদিকে বাতিল আদর্শের অনুসারীদের ক্ষমতায় থাকার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ছাত্র সমাজের একটি বিশাল অংশ। নূন্যতম শিষ্টাচার বোধও তাদের মধ্যে নেই বরং রয়েছে রাষ্ট্রীয় মদদে হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম। সম্প্রতি পয়লা বৈশাখের দিন ছাত্রী লাঞ্ছনা, ছিনতাই ও মারধরের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী আজীবন বহিঃস্কার করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষিকাকে নিপিড়ণের কারণে বহিঃস্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের। এগুলোই প্রথম নয় বরং বাতিল আদর্শের অনুসারীদের কাছ থেকে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর বিকৃত আচরণ দেখেছে দেশের জনগণ।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি এই লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন কাজ। কিন্তু ছাত্রশিবির সব সমস্যাকে সামনে রেখেই এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। কারণ ছাত্রশিবির সত্য ও ন্যায়ের পথের যাত্রী। আর সত্যর সামনে মিথ্যার পতন হবেই এটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা। সুতরাং কোন পরিস্থিতিতে যেমন হতাশ হওয়া যাবেনা তেমনি অধৈর্যও হওয়া যাবেনা। অসীম ধৈর্য ও সাহসীকতার সাথে ছাত্রসমাজের কাছে কুরআনের আহবান পৌছাতে হবে। প্রতিটি নেতাকর্মীকে একেক জন রাহবারে পরিণত হয়ে জনে জনে দাওয়াতী কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মহান আল্লাহর উপর ভরসা করাই হবে আমাদের মূল শক্তি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন