গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আইনজীবীরা তার সাথে দেখা করেন ও পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন
আপীল বিভাগে তার পক্ষে যথাযথ যুক্তিতর্ক দৃঢভাবে উপস্থাপনের নির্দেশনা
আপিল মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের বিষয়ে আইনজীবীদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এ ছাড়া আইনজীবীদের মাধ্যমে তিনি দেশবাসীকে সালাম জানিয়েছেন। বলেছেন, কারাগারে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মানসিকভাবে দৃঢ় আছেন।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনিরের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ’র সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা মুজাহিদের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলার পর কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। আইনজীবী প্রতিনিধি দলের সাথে উপস্থিত ছিলেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর। তবে তিনি কারাগারের বাইরে ছিলেন।
পরে কারাগারের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির বলেন, আজ রোববার থেকে তার (মুজাহিদের) আপিল মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা আছে। যেসব কারণে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে এসব বিষয়ে তিনি আমাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করার জন্য কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন ।
শিশির মোহাম্মদ মনির বলেন, আপীল বিভাগের সামনে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য তিনি (মুজাহিদ) অনেক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনী বিষয়ে তার সাথে অনেক পরামর্শ করা হয়েছে এবং তিনি তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন। আইনজীবী হিসেবে আমরাও দেশী বিদেশী যে নজির রয়েছে তা নিয়ে তার সাথে পরামর্শ করেছি। মুজাহিদ বলেছেন, আপীল বিভাগে তার পক্ষে যেন যুক্তিতর্ক যথাযথ এবং দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, কারাগারে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সুস্থ আছেন এবং মানসিকভবে দৃঢ় আছেন। দেশবাসীকে তিনি সালাম জানিয়েছেন।
শিশির মোহাম্মদ মনির বলেন, আপীল বিভাগে আজ রোববার একটি লিখিত আর্গুমেন্ট জমা দেয়া হবে। এ বিষয়েও মুজাহিদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আপীল বিভাগে যেন আর্গুমেন্টের বিষয়গুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদন্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২।
এর আগে, ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দেখানো হয়।
উৎসঃ ফেসবুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন