আওয়ামী লীগ ১৯৭৪ এ বাকশাল কায়েম করেছিলেন । সারা দেশে একটাই দল থাকবে আর তা হচ্ছে বাকশাল । সেই দিন বাকশালের কবলে পড়ে আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো । মাত্র ৪ টি পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকাও নিষিদ্ধ । মানুষ স্বাধীন দেশে হয়ে গেলেন পরাধীন । বলা যাবে না , লিখা যাবে না এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।
জাতির মুক্তির লক্ষে সেইদিন বাংলার বাঘ , আমাদের সার্বভৌমত্বএর অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর কিছু দামাল ছেলে অস্র হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারী , বাকশালী মতবাদের চৌদ্দগুষ্টিকে কবরে পৌঁছে দিয়েছিলেন ।
পরবর্তীতে ক্ষমতার পালাবদলে সেনা নায়ক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে বাংলাদেশের লেডী হিটলার খ্যাত হাছিনাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন ।
১৯৮১ সালের ১৭ই মে হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। মায়াকান্না দিয়ে , ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে ( মাথায় পট্টি , হাতে তাসবিহ ) মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বাংলার মানুষকে আবারো ফিরিয়ে দিলেন সেই ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ সহ সেই পুরানো বাকশাল ।
আমরা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা সহজেই কাউকে ক্ষমা করে দেই । একটু কান্না অথবা আমাদের দুর্বল যায়গায় আঘাত করলেই আমরা ভুলে যাই বাকশাল আমাদের জাতীয় শত্রু ।
১৯৮১ সালের এই দিনটা (প্রত্যাবর্তন দিবস ) যদি আমাদের ইতিহাসে না আসতো তবে হয়তো আজ বাংলাদেশকে আমরা মালয়েশিয়া / সিঙ্গাপুর হতে দেখতাম ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন