মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী এবং রহিঙ্গা অভিবাসীদের অবৈধভাবে পাচার করার সময় ট্রলার এবং নৌকা ডুবিতে অসংখ্য বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসি লোক নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১৪ মে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী এবং রহিঙ্গা অভিবাসীদের অবৈধভাবে পাচার করার সময় ট্রলার এবং নৌকা ডুবিতে অসংখ্য বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসী লোক নিহত এবং আহত হচ্ছে। কয়েকদিন পূর্বে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকুল থেকে ৪৬৯ জন এবং গত ১১ মে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৪০০ বাংলাদেশি ও রহিঙ্গা অভিবাসীকে। তারা নৌকায় চরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছিল। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে যে, আট হাজার বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসী সাগরে ভাসছে। এ খবরে জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়াও মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের বনে-জঙ্গলে বহু বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসী পালিয়ে রয়েছে। পলাতক অবস্থায় শত শত লোক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসীদের ওপরে অমানসিক অত্যাচার-নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনীও প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসীদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
এক শ্রেণীর অর্থ লোভী মানব পাচারকারী চক্র সরকারের ভিতরে থাকা অর্থ লোভী, দুর্নীতিবাজ, অসৎ লোকদের সহযোগিতায় অবৈধভাবে বিদেশে মানুষ পাচার করছে। বেশ কিছুদিন যাবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানব পাচারের এই অমানবিক ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সরকার নির্বিকার। অথচ অবৈধভাবে মানব পাচারের সকল দায়দায়িত্ব সরকারের উপরই বর্তায়। এতে এক দিকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশী ও রহিঙ্গা অভিবাসিদের হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
কাজেই অবিলম্বে অবৈধভাবে মানব পাচারের সকল রুট বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন